সিলেট ব্যুরো:- সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটের বাংলা টিভি, চ্যানেল এস ও আনন্দ টিভির তিন সাংবাদিকের উপর নেক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলাকারিরা সাংবাদিকদের মোটর সাইকেল নিয়ে যায় ও সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৭ মার্চ) রাত এগারোটার দিকে জাফলং ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। হামলায় মারাত্বক আহত হন বাংলা টিভির জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রতিনিধি ও জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রাজু।

এছাড়াও অন্যান্য সাংবাদিকরা আহত হন।
স্হানীয় সাংবাদিকদের বরাতে জানা যায়, রাত ১১ টার দিকে বাংলা টিভির সাংবাদিক দুলাল হোসেন রাজু, চ্যানেল এসের সাংবাদিক সালমান শাহ, আনন্দ টিভির সাংবাদিক ইব্রাহিম আলীসহ পাঁচ জন গোয়াইনঘাট হতে জাফলং যাওয়ার পথে জাফলং ব্রিজের মুখে মটর সাইকেল গতিরোধ করে সদ্য গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কার হওয়া মাই টিভির তথাকথিত সাংবাদিক হুমায়ুন ও তার বাহিনী। সাংবাদিক দুলাল হোসেন রাজু মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে হুমায়ুন আহমেদ ও তার ছেলে এবং ছাত্রলীগের অন্য কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে দুলাল হোসেন রাজুর উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করতে থাকে। দুলালকে বাচাাতে এগিয়ে আসা সাংবাদিক সালমান শাহসহ আরও তিনজনকেও বেধরক মারধর করে হুমায়ুন ও তার ছেলেসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা। এসময় সাংবাদিক সালমানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল হুমায়ুন আহমেদ ও তার ছেলে নিয়ে যায়।
হামলার খবর শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হুমায়ুন ও তার ছেলের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করেন সাংবাদিক দুলাল হোসেন রাজুর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
এদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত দুলাল জানান, হুমায়ুন আওয়ামিলীগের ধোসর ও তার ছেলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা।
তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করার কারনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারিরা প্রায় ১৪-১৫ জন ছিল, সবার হাতে দা এবং লোহার রড ছিল। হামলাকারি সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোয়াইঘাট থানা পুলিশ। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমদ জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্হলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারনে হামলা হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি। তিনি জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।