দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করোনাভাইরাসের টিকা ক্রয়ে ২২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে বেক্সিমকো ফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার, উপসহকারী পরিচালক মো. জুয়েল রানা ও কাজী হাফিজুর রহমান। তারা ইতিমধ্যে নথিপত্র সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, করোনার টিকা ক্রয়ের সময় সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ করা হয়নি এবং নীতিমালা লঙ্ঘন করে তৃতীয় পক্ষকে লাভবান করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সরকার সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা কিনলে প্রতি ডোজে যে টাকা বাঁচত, তা দিয়ে আরও ৬৮ লাখ টিকা কেনা যেত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া, চীন থেকে সিনোফার্মার টিকা আমদানিতে প্রতিটি ডোজের জন্য ৮,৭২২.২০ টাকা খরচ হয়েছে, যা সরকারি অনুমোদিত ১০ ডলারের তুলনায় অনেক বেশি। এখানেও বড় ধরনের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এই সিন্ডিকেটের প্রভাবে বাংলাদেশি টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ এর উন্নয়ন ও উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদক এই অভিযোগগুলোর প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করেছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে তা জানানো হবে।