সিলেটে ফাগুনের শেষ সময়ে ঘটে যাওয়া ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সিলেটের বিশ্বনাথ, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়, যার সাথে শিলাবৃষ্টিও ছিল। বিশেষভাবে জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর ও চিকনাগুল এলাকায় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং বিভিন্ন বাড়ির টিনের চালাও ছিদ্র হয়ে গেছে, ফলে বসবাসকারী মানুষদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সিলেট অঞ্চলে ফসলের উৎপাদন এবং কৃষকদের জীবিকা চরমভাবে বিপর্যস্ত করেছে। বিশেষ করে জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর ও চিকনাগুল এলাকায় শিলাবৃষ্টির কারণে পাকা ফসল যেমন ধান, তামাক, আখ এবং অন্যান্য কৃষিপণ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা, কারণ তাদের উৎপাদিত ফসল ইতিমধ্যে বাজারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল।
এছাড়া, ঝড়ো হাওয়ার কারণে বহু ঘরের টিনের চালা ছিঁড়ে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে, যা মানুষের জন্য আরও একটি বড় সমস্যা। বিশেষত নিম্নআয়ের মানুষরা যারা টিনের চালা দিয়ে ঘর তৈরি করেছেন, তাদের পক্ষে এই ক্ষতিপূরণ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, যা তাদের আরও দুর্ভোগে ফেলেছে।
আবহাওয়ার এই প্রভাবের কারণে সিলেট অঞ্চলে কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, এবং কৃষকদের জন্য সহায়তা এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল কী হবে তা নির্ভর করবে এই ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠন এবং পুনরুদ্ধারের উদ্যোগের উপর।
এমন পরিস্থিতিতে, সিলেটের বাসিন্দাদের পুনরুদ্ধারের জন্য আরও বেশি সহায়তা এবং ত্রাণের প্রয়োজন, যাতে তারা এই দুর্যোগের পরবর্তী ধাক্কা সামলাতে সক্ষম হয়।