মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ৯০ কর্মদিবস নয়—সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে শাস্তি কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি জানান তিনি।
ধর্ষকদের ঘৃণা ও বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে শফিকুর রহমান লেখেন, ‘আসুন, মানুষ নামের এই পশুদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে, সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। ধর্ষকদের ঘৃণা করি ও বয়কট করি।
বেলা একটায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুর খবর জানিয়ে জামায়াতের আমির লেখেন, ‘বিধ্বস্ত পরিবারকে কোন ভাষায় সান্ত্বনা দেব, সে ভাষাটিই হারিয়ে ফেলেছি। মহান রবের দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন তার পিতা-মাতাসহ আপনজনদের নির্বিশেষে, বিবেকবান দেশবাসীকে এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করেন।’
ধর্ষকদের শাস্তির দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির লেখেন, ‘মানুষ নামের যে পশুরা তাদের পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে মাসুম শিশুটির জীবনের আলো নিভিয়ে দিল, এ পশুদের কঠিনতম ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। সর্বোচ্চ ৯০ দিনের ভেতরে (৯০ কর্মদিবস নয়) এদের শাস্তি কার্যকর করতে হবে।’
আজ দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।