মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্ধা (সাঘাটা, ফুলছড়ি): পবিত্র মাহে রমজানে গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ির বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে, যা স্বস্তি এনে দিয়েছে রোজাদারদের মধ্যে। গত বছরের তুলনায় এবার বাজারের চিত্র পুরোপুরি পাল্টে গেছে। অতিরিক্ত দাম ও পণ্যের সংকটে যে ভোগান্তি ছিল, তা এবার আর দেখা যাচ্ছে না।

সরজমিন সাঘাটার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। প্রচুর পণ্য সরবরাহ থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, ফলে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছেন।
স্থানীয় ক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, “গত বছর রমজানে সবজির দাম ছিল আকাশচুম্বী। টমেটো ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, আর পেঁয়াজ ৭০ টাকায় কিনতে হয়েছিল। এবার সেই দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন টমেটো ১০ টাকা, গাজর ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ফলে পরিবার নিয়ে স্বস্তিতে আছি।”
ব্যবসায়ী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, “এবার বাজারে প্রচুর পণ্য সরবরাহ থাকায় দামের ওপর চাপ পড়েনি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ভালো থাকায় আমরা বেশি বিক্রি করতে পারছি, এতে লাভও ভালো হচ্ছে। ক্রেতারা স্বস্তিতে কেনাকাটা করায় ব্যবসাও ভালো চলছে।”
বর্তমানে সাঘাটার বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আলু ১৫ টাকা, দেশি আলু ২০ টাকা, বেগুন ১৫-২০ টাকা, টমেটো ১০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০-৩০ টাকা, কুমড়ো ২০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি, ব্রয়লার ডিম ১০ টাকা পিস। ছোলা ১০০ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা, চিনি ১১৫ টাকা, রসুন ৬০-৬৫ টাকা, পেঁয়াজ ২০-২৫ টাকা।
রমজানে বাজার স্থিতিশীল থাকায় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, পুরো রমজান জুড়ে এ পরিস্থিতি বজায় থাকলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্যই এটি ইতিবাচক হবে। স্থানীয়রা বলছেন, আগের মতো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকট না থাকায় এবারের রমজান অনেকটাই স্বস্তিদায়ক হতে চলেছে।