খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে। কোনো শিক্ষার্থী যদি রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে জড়িত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের কার্যালয় থেকে সোমবার জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩ ও ৯৮তম জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সিন্ডিকেটের ৯৮তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজনীতিতে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। এই সিদ্ধান্তটি ছাত্র শৃঙ্খলা বিধির ২০ নম্বর ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই ধারায় বলা হয়েছে, “কোনো ছাত্র বা ছাত্রগোষ্ঠী কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। যদি কোনো শিক্ষার্থী সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল।”
বিজ্ঞপ্তিতে কুয়েট কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করে, শিক্ষার্থীদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করা, যাতে তারা দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড একটি সংবেদনশীল বিষয়। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংঘাত শিক্ষার পরিবেশকে বিঘ্নিত করে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ফেলে। কুয়েট কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কুয়েটের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে। এটি শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে, এই সিদ্ধান্তের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন এবং ন্যায়সংগত তদন্ত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।