Joypurhat District Representative:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ইউনিয়ন বিএনপির এক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ মামলা হয়েছে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারির বিরুদ্ধে। এঘটনায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে অভিযুক্ত ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী ওই সাবেক বিএনপির নেতা মো.এনালুল হক (৪৫) বাদী হয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারি এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারিসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, বড়তারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হালিম মাস্টার (৫০), সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম (৫৩), ৮নং বিএনপির সভাপতি মো. ওয়াদুদ ফকির (৬৭), বড়তারা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন (৪৩) এবং মাঝিয়াস্থল গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে মো. হেনা মন্ডল (৬৫)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গভীর নলকূপের মালিকানা নিয়ে বিরোধের বিষয়কে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে এনামুল নিজ বাড়ী থেকে বের হয়ে আলু বিক্রির জন্য মাঝিয়াস্থল নিমতলী বাজারে শহিদুল ইসলামের আলুর আড়তের সামনে পৌঁছালে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লোহার রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে এনামুলের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। এনামুল প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরক এলোপাথারী চর-থাপ্পর মারা শুরু করে।এক পর্যায়ে লোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে এনামুলের মাথায় আঘাত করলে তিনি আত্মরক্ষার্থে হাত দিয়ে বাধা দিলে তার হাত ভেঙে যায়। আঘাত পেয়ে লুটিয়ে পড়লে সকলে মিলে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে। এসময় তার আলু বিক্রির ৪৫ হাজার টাকা অভিযুক্তরা ছিনিয়ে নেন বলে তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে বড়তারা ইউনিয়ন ৭নং ওয়াড বিএনপি’র বহিষ্কৃত নেতা আঃ মুমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিএনপি করি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত যার কারনে আমি আমার পিতা মাতার জারজ সন্তান আমাকে যারা বহিষ্কার করেছে আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি৷
ক্ষেতলাল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দিপেন্দ্রনাথ সিং জানান, এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, ওই মামলার কারনে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।