এস কে রাসেল দৌলতপুর, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
মানিকগঞ্জ দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামে ৫০০ মিটার নতুন রাস্তা করার ৩ মাস পেরোতেই রাস্তার বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। একদিনের বৃষ্টিতে রাস্ত প্রায় অর্ধেক ধসে পড়েছে। এতে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ করায় তিন মাসেই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে।
জানা গেছে, ২৩-২৪ অর্থবছরের প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকার ৫০০ মিটার রাস্তা তৈরি করার কাজ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সপ্না এন্টারপ্রাইজের মালিক, নন্দলাল । রাস্তাটির পাশে গাইড ওয়াল না থাকায় বালুর ওপরে ইট বসানোর কারণেই বৃষ্টির পানিতে ইটের নিচ থেকে বালু সরে গিয়ে রাস্তা ভেঙে গেছে। আর এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: বাবুল শেখ জানান , এই রাস্তাটি তৈরি করার কিছুদিন পরে একদিনের বৃষ্টিতেই রাস্তাটি দুই পাশ থেকে ভেঙে গেছে। রাস্তা ভেঙে এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখনতো বৃষ্টি তেমন শুরু হয়নি। আর দু’একদিন বৃষ্টি নামলে এই সড়ক আর সড়ক থাকবে না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবেই এমন কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সপ্না এন্টারপ্রাইজের মালিক নন্দলালকে কিছু দিন ধরে অনেকবার ফোন দেয়া হয়েছে কিন্তু তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
চকমিরপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাবিনা আক্তার বলেন, ‘এই রাস্তার কাজটি মূলত আমার না। এটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করেছে। রাস্তাটির ইটের নিচে বালুর কারণেই বৃষ্টির পানিতে ধসে গেছে। কন্ট্রাক্টরকে অনেকবার বলা হয়েছে কিন্তু উনি এখনো মেরামত করেনি।
এ বিষয়ে চকমিরপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো: আমজাদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনো জানি না। আমি জানার চেষ্টা করছি দেখি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো:মহাসিনউল হাসান বলেন, আমি কিছুদিন হলো নতুন এসেছি টিকাদার প্রতিষ্ঠানের জামানতের টাকা এখনো আছে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণভাবে ঠিক না হলে জামানের টাকা দেয়া হবে না।