রামপুরায় এক কিশোরী তার বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শনিবার রাতে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়ায় বউ বাজারে ভাড়া বাসায় কিশোরী তার বাবা ও দুই ভাই-বোনের সাথে থাকত। শনিবার গভীর রাতে এক প্রতিবেশী কিশোরীর চিৎকার শুনে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে।
কিশোরীর জবানবন্দিতে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। ওসি আতাউর রহমান বলেন, কিশোরীর মা এক মাস আগে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর মাত্র তিন দিন পর থেকেই বাবা তাকে ধর্ষণ শুরু করে। এমনকি মায়ের জীবদ্দশায়ও সে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিশোরীর বর্ণনা অনুযায়ী, তার বাবার এই নৃশংসতা চিন্তারও বাইরে।
ওসি আরও জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির তিন সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে একজনের বয়স আড়াই বছর এবং অন্যজনের বয়স পাঁচ বছর। ঘটনার সময় ছোট দুই সন্তান ঘরেই ছিল, তবে তাদের কিছু বোঝার মতো বয়স হয়নি। মা বেঁচে না থাকায় পুলিশের একজন নারী সদস্য বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত বাবা একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে মাদকাসক্ত বলে মনে হচ্ছে। তিনি পেশায় রিকশাচালক এবং তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে।
এই ঘটনায় সমাজের সর্বস্তরে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। শিশু ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনা শিশু নির্যাতন ও নারী নিরাপত্তার বিষয়টি আবারও সামনে এনেছে। সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।