বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সাম্প্রতিক সময়ে পাল্টাপাল্টি সার্ভাইল্যান্স ও গোপন নজরদারির ঘটনা তীব্র উত্তেজনা তৈরি করেছে। ৫ আগস্টের পর থেকেই ভারতের সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ক্যাপাবল RAW-এর গ্লোবাল-৫০০০ বিমানটি বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে বারবার চলে এসেছে, ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে।

প্রথম কয়েক মাস বাংলাদেশ পক্ষ থেকে কোনো বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ তাদের ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন) এবং সীমান্তের অন্যান্য স্থানে নিয়মিত নজরদারি শুরু করেছে। বাংলাদেশ আর্মি এভিয়েশনের বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোনটি সম্প্রতি দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা ধরে ভারত সীমান্তের উপর উড়তে দেখা গেছে।
গত পরশু দিন ঢাকা থেকে টেক অফ করে নরসিংদী ক্রস করে ভারতের আগরতলা সীমান্তে ইলেকট্রনিক সার্ভাইল্যান্স মিশন পরিচালনা করে টিবি-২। এই ড্রোনটি ত্রিপল ব্যান্ডস সিস্টেম দ্বারা উচ্চ মানের ছবি ও ভিডিও ট্রান্সমিশন সহ এরিয়াল মনিটরিং সম্পাদন করতে সক্ষম। নরসিংদী পার করার পরই ড্রোনটির ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এখন ভারতও পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আজ সকালে RAW-এর গ্লোবাল-৫০০০ (সিরিয়াল নম্বর GB8002) বিমানটি নয়াদিল্লি থেকে উড্ডয়ন করে, লোখনৌ, পাটনা হয়ে রাজশাহীর কাছাকাছি এসে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেয়। এই সময় ৬:৪২ মিনিট থেকে ১০:২১ মিনিট পর্যন্ত ট্রান্সপন্ডার বন্ধ ছিল বিমানটির। এছাড়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের নিজস্ব টেকনোলজিতে তৈরি ড্রোন জ্যামারও ডিপ্লয় করেছে, যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে গোপন নজরদারি এবং সীমান্তে উত্তেজনা।
এই ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ANI জানায়, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ আর্মির বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোনের উপর নজরদারি সম্পর্কিত অভিযোগ জানিয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে এই ধরনের গোপন নজরদারি, বিশেষ করে সীমান্তে এমন ঘটনায় ভবিষ্যতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।