প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে বাকি নির্বাচন কমিশনাররা এককথায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। নির্বাচনের জন্য সময়সীমা নির্ধারণের পর, তাদের টার্গেট বাস্তবায়ন করতে হলে, স্থানীয় নির্বাচন গ্রহণ করা একেবারেই সম্ভব নয়। স্থানীয় নির্বাচন হলে প্রচুর সময় ও সম্পদের প্রয়োজন হবে, যা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য দীর্ঘ সময় নিয়েও প্রস্তুতি শেষ করার জন্য বাধা হতে পারে।
এদিকে, দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের অবস্থানও একেবারেই পরিষ্কার—প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস থেকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান পর্যন্ত সবাই একযোগভাবে বলেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা এখন কোনো বিতর্কিত বিষয় নয়, বরং বাস্তবতা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। ফলে, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশও এখন নির্বাচনমুখী। নির্বাচনী প্রস্তুতিগুলোর মধ্যে যেমন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতি, তেমনি নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে।
নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে যাতে নির্বাচনের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়। রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার তীব্রতা বাড়ছে। যেহেতু নির্বাচন এখন সময়ের ব্যাপার, তাই এটি এককথায় সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে এখন একটি কঠিন সিদ্ধান্ত রয়েছে—তারা নির্বাচনী ট্রেনে উঠবে, না হয় অন্য কোনো পথে চলবে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, দেশের জনগণ কী প্রস্তুতি নিচ্ছে? তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, বা তারা মলম বিক্রি করার মতো কোনো ব্যবসায় যাবে—এটি একান্তই তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে, এ পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণে এই সিদ্ধান্তগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতির কাজে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। দেশ যখন নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছে, তখন দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আরও অনেক প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজন।