নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সীমান্ত নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা সাথে ভুট্টা চাষীদের মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) উপজেলার চেকপোস্ট সীমান্তে সিএস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ধর্মগড় ও কাশিপুর ইউনিয়নে সীমান্ত এলাকার চাষীদের নিয়ে এ মতবিনিময় টি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন,আমরা চাই কিভাবে আপনাদের উন্নয়ন ঘটানো যায়। আপনারা নিরাপদ ফসল চাষ করে বহিবিশ্বে পাঠাবেন।এজন্য আমাদের কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য পরিত্যক্ত জমি গুলোকে চাষের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন,আমি চাকরির সুবাদে অনেক জেলায় থেকেছি কিন্তু এই জেলার মানুষের মতো পরিশ্রমী চাষী দেখিনাই। আমি এজেলায় এসে দেখেছি এখানকার কৃষক একটি জমিতে তিনটি ফসল পর্যন্ত চাষ করে। এবিষয় টি আমি ঢাকায় জেলা প্রশাসকদের মতবিনিময় সভাতেও উল্লেখ করেছি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন,এত ফসল উৎপাদনের কারণ হচ্ছে এ জেলার জমি গুলো উর্বর।তবে বার বার ভুট্রা চাষ করায় জমি গুলোর উর্বরতা কমে যাচ্ছে। সেই সাথে বিজিবি সীমান্ত রক্ষায় নানামুখী সমস্যায় পড়ছেন।যার ফলে অবাধে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে মাদক চোরাচালান সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র অবৈধভাবে প্রবেশ হচ্ছে। তাই সীমান্তের ৫০০ শ মিটারের মধ্যে উচু জাতীয় ফসল না ফলানোর জন্য অনুরোধ করছি।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্পাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজেদুল ইসলাম বলেন,আমাদের সীমান্ত এলাকা গুলোতে উচু জাতের ফসল ফলানো হচ্ছে।আমরা যদি লক্ষ করি ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় কোন ধরনের উঁচু জাতীয় ফসল তারা চাষ করে না। আমরা চাইলে নিচু জাতীয় ফসল উৎপাদন করে লাভবান হতে পারবো। এসময় তিনি উল্লেখ করে বলেন,এ জেলাতেই অনেক কৃষক মিস্টি কুমরা, চিনা বাদাম,সহ অন্যন্য নিচু জাতীয় ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে।
কাঠালডাঙ্গী কোম্পানি কোমান্ডার সুবেদার মহসীন আলী বলেন, সীমান্ত এলাকায় তিন ফিটের চেয়ে উচু স্থাপনা ও উচু জাতীয় ফসলের কারণে নানামুখী সমস্যায় পড়ছি।এবিষগুলো সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারিরাও জানেন। বর্তমান পেক্ষাপটে উচু জাতীয় ফসল না চাষ করতে নিরুৎসাহিত করে আসছি।
মতবিনিময় সভায় একজন চাষী বলেন, ভুট্রা চাষ করা অন্যন্য ফসলের চেয়ে লাভ জনক ও ঝুকিকম। যার ফলে এ অঞ্চের চাষীরা ভুট্রা চাষে ব্যপক ভবে জরিয়ে পড়ছেন। তিনি আরো বলেন,ভুট্রার চেয়ে অধিক লাভজনক ফসল পেলেই এলাকার কৃষক সীমান্তে ভুট্রা চাষ কমাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, আপনারা সীমান্তে ভুট্রা চাষের পরিবর্তে নিচু জাতীয় লাভজনক ফসল উৎপাদন করেন আমরা আপনাদের কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, ধর্মগড় ও কাশিপুর ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহ সীমান্ত এলাকার শতাধিক চাষি।