কালাই (জয়পুরহাট):
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আওড়া পশ্চিম পাড়া গুচ্ছগ্রাম হাটপুকুরিয়া উক্তিয়া জামে মসজিদের পুকুর নিয়ে বিরোধের জেরে মসজিদ কমিটির সভাপতি সাইদুকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জাকারিয়ার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর গ্রামের সরকারি পুকুরটি ছানা নামের এক ব্যক্তি ইজারা নেন তৎকালীন যুবলীগ সভাপতি ছানা আলী। পরে পুকুরটি হাটপুকুরিয়া মসজিদে দান করেন। এরপর থেকে মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসী মিলে পুকুরটি সংস্কার করে মাছ চাষ শুরু করেন।
তবে সম্প্রতি ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি জাকারিয়া ওই পুকুরটি দখলের চেষ্টা করেন। ২৩ জুলাই (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে ছানা আলী তার দলবল নিয়ে পুকুরে জোরপূর্বক মাছ ছাড়তে গেলে মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসী বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও নারীসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন :সাইদুল ইসলাম (৬২), বেবি আক্তার (৩০), শিরিনা আক্তার (৩৫), মোঃ তাহেরুল (৩৫), বিজয় (১৫), জাহানারা (৩৫), শুকুর আলী (৫২), শিমু (১৭), রেজাউল (৬০), শাহারুল (২৬) প্রমুখ।
আহত বেবি আক্তার জানান, “আমার আগেই দুটি অপারেশন হয়েছে। ওরা আমাকে পেটে লাথি মেরে প্রচণ্ড আঘাত করেছে। প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছি।”
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোছাঃ নাইমা আক্তার জানান, “৩-৪ জনের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। পরীক্ষার শেষে বোঝা যাবে আঘাত কতটা মারাত্মক।”
মসজিদ কমিটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন,আমরা শুধু ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত পুকুর রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে পিটিয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।”
স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জাকারিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”