নেত্রকোণা প্রতিনিধি:
নেত্রকোণার পূর্বধলার হবিবপুর গ্রামে বিয়ের প্রস্তাব ঘিরে শুরু হওয়া বিরোধ রূপ নিয়েছে সংঘর্ষ ও মামলায়। গত কয়েকদিন ধরে গ্রামটি প্রায় পুরুষশূন্য, বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকান। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নারী ও শিশুরা।
ঘটনার সূত্রপাত হয় নারান্দিয়া ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রামের আরিফ ও পাইলাটী গ্রামের জুয়েল মিয়ার মেয়েকে ঘিরে। বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল। শেষমেশ ৯ জুন মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন জুয়েল মিয়া, যা উত্তেজনায় ঘি ঢালে।
১২ জুন রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আগুন লাগে জুয়েল মিয়ার গোয়ালঘরেও।
পুলিশ ও জুয়েল মিয়া পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন—যেখানে শতাধিক ব্যক্তি আসামি। এর পরপরই শুরু হয় ধরপাকড়, গ্রেফতার এড়াতে পুরুষরা গ্রাম ছেড়েছেন। ফলে বাজার, দোকান ও পরিবারিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ:
“রাতে পুলিশ হানা দেয়, ভয় পেয়ে আছি,” বলেন স্থানীয় রাশিদা আক্তার।
“আমরা বিচার চাই, হয়রানি নয়,” জানান গ্রামের আরও অনেকে।
পুলিশ বলছে:
“পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নিরীহ কেউ হয়রানির শিকার হবেন না,” জানান ওসি মো. নূরুল আলম।