মিকেল চাকমা, রাঙামাটি প্রতিনিধি:
রাঙামাটিতে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) রাঙামাটি জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।
কাজল তালুকদার বলেন, “ভাষা কোনো জাতিকেই ক্ষুদ্র করে না, বরং ভাষা একটি জাতির পরিচয়ের মূল ভিত্তি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষা টিকে থাকলে তারাই প্রকৃত অর্থে টিকে থাকবে।” তিনি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অনেক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে, যা রোধে এখনই উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) খোন্দকার রিজাউল করিম ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম বলেন, মাতৃভাষার পাশাপাশি সংরক্ষণযোগ্য বর্ণমালা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চাও অপরিহার্য।
কর্মশালায় বক্তারা মূল স্রোতধারার ভাষা বাংলা রক্ষার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, খিয়াংসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও বর্ণমালার মর্যাদা ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি ও লেখক শিশির চাকমা, সহকারী অধ্যাপক আনন্দ জ্যোতি চাকমা, গবেষণা কর্মকর্তা শুভ্র জ্যোতি চাকমা, উন্নয়নকর্মী ঝুমালিয়া চাকমা ও তরুণ লেখক আশাধন চাকমা।
কর্মশালায় বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর ৪২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতি হারিয়ে গেলে আত্মপরিচয়ও হারিয়ে যায়— তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এখনই প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ।