মোঃ সায়েদুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চর-কৃষ্ণপুর গ্রামে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে চলছে ভেকু (এক্সকাভেটর) মেশিন দিয়ে মাটি বাণিজ্য। রিকন্ডিশন ট্রাক ও লরির মাধ্যমে এসব মাটি বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুর সংস্কারের নামে আলী আজাদ ওরফে হিরু এ মাটি বাণিজ্য চালাচ্ছে । ভেকু দিয়ে মাটি কেটে সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চড়া দামে বিক্রি করছে । এতে চলার রাস্তায় কাদা পড়ে সাধারণ গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বৃষ্টি হলে রাস্তায় চলা অসম্ভব হয়ে পড়ে ।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জানান, “রাস্তাঘাট এতটাই নষ্ট হয়ে গেছে যে স্কুলগামী শিশু, রোগী কিংবা সাধারণ মানুষ কারোই চলাচল স্বাভাবিক নেই। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো হুমকি ধামকি দেওয়া হয় এবং বলে উপর থেকে পারমিশন নেয়া হয়েছে ।”
এসব বিষয়ে মাটি ব্যাবসায়ী হিরু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” জমির পর্চা পত্রে এটা পুকুর । তাহলে পুকুর থেকে মাটি কাটলে দোষের কি ?” মাটি কাটার অনুমতি পত্রের কথা জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান এবং সদর থানার বিএনপি দলের জয়েন্ট সেক্রেটারি আলী হোসেনের নামে চলে বলে জানান।
এ বিষয়ে নেতা আলী হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,” আমাকে মাটি কাটার বিষয়ে বলেছিল, আমি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মাটি কাটতে নিষেধ করেছি ।”
কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকতা আব্দুস সালাম বলেন , আমার এখান থেকে কোন ধরনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
মানিকগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিক্তা খাতুন বলেন, “মাটি কেটে বিক্রি করার কোন ধরনের অনুমতি নেই । তদন্ত নিয়ে দ্রুত আমি এর ব্যবস্থা নিচ্ছি। সমাজে সকল অবৈধ ও দুর্নীতি সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের পাশে থাকার আহ্বান করেন তিনি ।