Barisal Correspondent:
বাকেরগঞ্জ থানার পুলিশ কনেস্টেবল (বকসি) মোঃ জহিরুল ইসলামের ক্ষমতার দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছে থানায় আসা সেবা গৃহিতারা।
সে নিজের ক্ষমতার দাপটে স্বর্গ রাজ্যে পরিনত করেছে তাহার কর্মস্থল। দীর্ঘ ০২ বছরের অধিক সময় ধরে সে বাকেরগঞ্জ থানায় অবস্থান করে বকসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। টাকা ছাড়া তার কাছে কোন মামলা/মোকদ্দমা, কাগজপত্র আদান-প্রদান চলে না। এমনকি আসামীদের পরিবারের নিকট থেকে আসামী চালানের জন্য নেওয়া হয় জনপ্রতি ৫০০ (পাঁচশত) টাকা গাড়ীভাড়া হিসাবে। আসামীর পরিবার কনেস্টেবল (বকসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম এর দাবীকৃত টাকা না দিলে ভুক্তভোগীদের পড়তে হয় চরম বিড়াম্বনায়।
বরং তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ দেওয়ার কথা বললে সে দাম্ভিকতার সহিত বলে যে, তাহার ক্ষমতার শিকড় ৮০ (আশি) হাত মাটির নীচে।
তথ্য সূত্রে জানা যায় যে, উক্ত কনেস্টেবল (বকসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম এর ইতোপূর্বে বরিশাল জেলা হইতে ভোলা জেলায় এবং পিরোজপুর জেলায় বদলীর আদেশ হইলেও অবৈধ ক্ষমতার জোরে বর্তমান কর্মস্থলেই রয়ে গেছেন।
যদি কোন আসামী রিকলের কাগজ জমা দিতে আসে তাহলে আসামীকে গুনতে হয় নগদ টাকা। থানা থেকে কেউ কোন মামলার কপি তুলতে গেলে কনেস্টেবল (বকসি) মোঃ জহিরুল ইসলামকে দিতে হয় প্রতি মামলার কাগজে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী জানিয়েছেন যে, বকশি মোঃ জহিরুল ইসলামের কাছে কোন দরকারে গেলে করেন খারাপ আচার-আচরন এবং টাকা ছাড়া তার সাথে কোন কথাই বলা যায় না। টাকা দিলে সেবা পাবে না দিলে পাবে না এবং টাকা ছাড়া থানায় কোন কাজ হয় না এমনটাই বলেন বকশি মোঃ জহিরুল ইসলাম।
বাকেরগঞ্জ পুলিশ সুপার মার্কেটের ভাড়ার টাকা উত্তোলনের বিষয়েও তার বিরুদ্ধে দূর্নিতির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাটার মালিকদের নিকট হইতে মাসিক চুক্তিতে গোপনে চাঁদা গ্রহন করার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার পুলিশ কনেস্টেবল (বকসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে সে এসকল বিষয়ে কথা বলতে অ-স্বীকৃতি জানান এবং বলেন যে তার ক্ষমতার শিকড় ৮০ (আশি) হাত মাটির নীচে। সে বলে যে, তার বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ করলেও তার কিছু যায় আসে না!! উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার ক্ষমতা তার আছে।