Staff Reporter:
শেরপুর জেলার সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে ঐতিহাসিক নাগরিক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা এক ঘণ্টা ধরে শেরপুর জেলা সদরের প্রধান সড়কজুড়ে গড়ে ওঠে এই ব্যতিক্রমধর্মী মানববন্ধন, যার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১৪ কিলোমিটার।
শেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার—যেগুলোতে উঠে আসে জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ ও পর্যটনের উন্নয়নসংক্রান্ত পাঁচ দফা দাবি।
পাঁচ দফা দাবির মূল পয়েন্ট:
- শেরপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন
- সরকারি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা
- রেলস্টেশন স্থাপন
- কৃষিতে প্রণোদনা ও পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা
- গারো পাহাড়কে ঘিরে পর্যটন শিল্পের বিকাশ
মানববন্ধনে শেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, “শেরপুর একটি সম্ভাবনাময় জেলা হলেও বারবার অবহেলিত। এ জেলার মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই দাবি তুলে ধরছি। আমরা আশাবাদী, সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো আমলে নেবে।”
শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ নানা পেশার মানুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শ্রাবনী আক্তার বলেন, “উচ্চশিক্ষার জন্য আমাদের বাইরে যেতে হয়। এখানেই একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চাই।”
স্থানীয় সাংবাদিক মোরাদ হোসেন বলেন, “গারো পাহাড় ও সংস্কৃতিকে ঘিরে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দিনের পর দিন অবহেলিত।”
মানববন্ধনটি শুরু হয় শেরপুর সদর থেকে, এরপর খোয়াড়পাড়, চকবাজার, নিউমার্কেট, খরমপুর, অষ্টমীতলা হয়ে শহরের বাইপাস ধরে জামালপুর সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। আয়োজকরা এটিকে জেলার ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ ও শান্তিপূর্ণ নাগরিক কর্মসূচি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
আগামী কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
মানববন্ধন থেকে আয়োজকরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, শেরপুরবাসীর ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। অন্যথায় আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।