মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজশাহীর পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে হাটগুলো।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৫ এর আওতাধীন পাঁচটি জেলায় গৃহীত হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ যেকোনো ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে হাটগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম.
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক মাসুদ পারভেজ Tell me,
“বড় বড় হাটগুলোতে কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে। যাতে গরমে অসুস্থ হওয়া ক্রেতা-বিক্রেতারা দ্রুত চিকিৎসা নিতে পারেন। প্রয়োজনে র্যাবের অ্যাম্বুলেন্স সেবা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, জাল টাকা শনাক্তকরণে বিশেষ মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি, গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট.
রাজশাহী বিভাগে এবার ৪৩ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় চাহিদা ২৬ লাখ। বাকি প্রায় ১৭ লাখ পশু দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হবে—বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে।
এছাড়া আট জেলায় ৩০২টি পশুর হাট নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬১টি স্থায়ী and ১৪১টি অস্থায়ী। পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২১৩টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে হাটগুলোতে। তারা গর্ভবতী গরু শনাক্ত, অসুস্থতা নির্ণয় এবং রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে।
সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট হাটে আগতরা। ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবার হাটের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল.