নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ দেশের উত্তর জনপদে গ্যাস সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের এক বছর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়নি। ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে উদ্বোধন করলেও বর্তমানে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে এলাকাবাসী এবং ব্যবসায়ী হতাশায় রয়েছেন।
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) জানায়, ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হয়। প্রায় ১৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের অধীনে ৩০৫ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। তবে এখনও পাইপলাইনের বেশ কিছু কাজ বাকি থাকায় সরবরাহ শুরু সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুট হলেও সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৩০০ কোটি ঘনফুট। চাহিদা-সরবরাহ ঘাটতি কাটাতে এলএনজি আমদানির পাশাপাশি অনুসন্ধান চলছে, তবে সাফল্য মেলেনি।
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মো: সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, গ্যাস সংযোগ পেলে শিল্প উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো, কিন্তু এখনো কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি।
বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির পরিচালক এরশাদ হোসেন পাপ্পু বলেন, পাইপলাইনের উদ্বোধন ছিল নিছক নাটক। শিল্প ও উদ্যোক্তারা গ্যাসের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন, যা না পেয়ে সম্ভাবনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক ফজলুল করিম জানান, ডিস্ট্রিবিউশন লাইনসহ কিছু কাজ বাকি রয়েছে, শিগগিরই কাজ শেষ করে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অতএব, দেড় বছর পার হওয়ার পরও পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু না হওয়ায় উত্তর জনপদে এখনো গ্যাসের সংকট কাটেনি, যা শিল্প ও জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।