মোঃ মামুনুর রশিদ আবির, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে বেআইনি হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে ঘোড়াঘাট-হিলি সড়কের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ওসমানপুর, খোদাদাতপুর, হায়দারনগর, আফসারাবাদ এবং নুরজাহানপুর কলোনির প্রায় দুই হাজারের অধিক নারী, পুরুষ ও শিশু এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে ১৮০ জন বাসিন্দার স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট জমা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে সংহতি ও বক্তব্য রাখেন:
- ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি
- আনোয়ারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি ও সাবেক জেলা আমীর
- মোফাখখায়ের ইসলাম মোল্লা, আমীর, জামায়াতে ইসলামি, ঘোড়াঘাট উপজেলা
- প্রভাষক আব্দুল মান্নান সরকার, সমন্বয়ক, জাতীয় নাগরিক কমিটি (এসসিপি), ঘোড়াঘাট
- স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দীন, সরফরাজ আহমেদ দুলাল, রাকিব হাসান Others.
অভিযোগের বিবরণ:
বক্তারা জানান, ১৯৫৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ভারত থেকে আগত মুসলিম রিফিউজি সৈনিক ও তাদের পরিবারদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ঘোড়াঘাট উপজেলার ১৪টি মৌজায় প্রতিটি পরিবারকে ৫ একর করে মোট ১৩৭৫ একর জমি প্রদান করে। এস.এ খতিয়ানে এসব মালিকানা অন্তর্ভুক্ত হয় এবং উপকারভোগীরা নিয়মিত খাজনা প্রদান ও বৈধভাবে জমির হস্তান্তর করে আসছিলেন।
কিন্তু সম্প্রতি “এমএফআরও” নামে একটি সংস্থা এসব জমিতে বেআইনি হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। সংস্থাটি সেনা ক্যাম্প স্থাপন করে বসতভিটা, ফসলি জমিতে চাষাবাদে বাধা, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন,
“এই জমি যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হয়, তাহলে তারা আইনানুগ পথে আদালতের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে পারে। জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তারা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং সুষ্ঠু ও টেকসই সমাধানের আহ্বান জানান।