Mir Imran, Madaripur Correspondent:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান মাদারীপুর জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছেন।
শনিবার (২১ জুন) সকাল ১১টায় চরমুগুরিয়া সেলিম মুন্সি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এই সভায় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় হেলেন জেরিন খান বলেন, “আমার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল বাবার হাত ধরে। বাবার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি মাদারীপুর-২ (মাদারীপুর সদর ও রাজৈর) আসনের উন্নয়নে নিরলস কাজ করতে চাই। এবার আমি আর সংরক্ষিত আসনের এমপি হতে চাই না, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাদের কাতারে দাঁড়িয়ে সেবা করতে চাই।”
আলোচনার শুরুতেই তিনি ১৯৭১ সালের শহীদ এবং ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, “সংসদ সদস্য থাকাকালীন প্রতিকূল পরিবেশেও এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। আগামীতে নির্বাচিত হলে সেই কাজ আরও গতিশীল হবে।” এ সময় তিনি বিএনপির “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা” সাংবাদিকদের মাঝে লিফলেট আকারে বিতরণ করেন।
গ্রুপিং নয়, জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয়
সাংবাদিক বেলাল রিজভীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি নিঃস্বার্থভাবে রাজনীতি করি, কোনো গ্রুপিংয়ে বিশ্বাস করি না। দল যদি দায়িত্ব দেয়, আমি জেলা বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।”
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, “বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমরা নই। তবে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে একটি দলের নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত দেশবাসী ও সরকারের উপর নির্ভর করে।”
সাংবাদিক সাগর হোসেন তামিম বলেন, “বিগত দিনে কোনো রাজনৈতিক নেত্রী এমনভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের উদ্যোগ নেননি। এটি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। আমরা চাই এই ধারা অব্যাহত থাকুক।”
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক থানা সভাপতি সোহরাব হোসেন হাওলাদার, সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের সাবেক ভিপি সরোয়ার হোসেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব ওয়াহিদুজ্জামান খান অহিদ, মৎস্যজীবী দলের সাইম খান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মুনমুন খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ।