শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের সাতানী পাড়া গ্রামের মাজেদা বেগমকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মাজেদা বেগম নিজের বসতভিটা ফিরে পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে বিচার চেয়েছেন। অভিযোগে তিনি বলেছেন, তাঁর সাবেক স্বামী জুহুরুল হক ও পুত্র ফরহাদ মিলে তাকে বসতভিটা থেকে বের করে দিয়েছে।
তালাকপ্রাপ্ত স্বামী জুহুরুল হক ও পুত্র ফরহাদ যৌথভাবে মাজেদা বেগমের বসতভিটা জোরর্পূবক দখল করে তাঁকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছে। শুধু তাই নয়, তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করেছে। ভুক্তভুগি মাজেদা বেগমের দাবি, তারা তাকে হত্যা ও নির্যাতনের হুমকি দিয়ে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছে। জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় তিনি তালাক দেন এবং গত পাঁচ বছর ধরে অন্যের বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে দিন পার করছেন।
তিনি বলেন, “আমার স্বামী জুহুরুল হক আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলার প্রস্তুতি নেয়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আমি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রতিবেশীদের কাছে আশ্রয় নিই।
নিজস্ব ভিটা থাকা সত্ত্বেও সেখানে ফিরতে পারছেন না, বরং প্রতিনিয়ত তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নিজস্ব ভিটা থাকা সত্ত্বেও আমি সেখানে ফিরতে পারি না। আমার স্বামী হুমকি দেয় যদি ফিরে যাই, তবে আমাকে মেরে খালে ফেলে দেবে। আমি এখন মানববেতর জীবন যাপন করছি। আমার একটাই দাবি আমি যেন আমার বসতভিটায় শান্তিপূর্ণভাবে ফিরতে পারি এবং ন্যায়বিচার পাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, মাজেদা বেগমের স্বামী ও ছেলে মিলে বহুবার তাকে মারধর করেছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশও হয়েছে। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তই তারা মানে না। বরং তারা তাকে উল্টো হত্যার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীর ভাই আব্দুল জলিল বলেন, আমার বোনকে তারা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। জমি দখল করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।তার কোনো খোঁজখবর নেয় না, ভরণপোষণ দেয় না। আমার বোনের গায়ে হাত তোলে, এমনকি ঘুষি মেরে তার দাঁত ফেলে দিয়েছে। তিনি তার বোনের ন্যায় বিচার চান।
অভিযুক্ত ফরহাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি মায়ের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)শেখ জাবের আহম্মেদ বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছেন, দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।