জামিউল ইসলাম তুরান, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন হাজিপাড়া গ্রামের খারাসাবাড়ির একটি রাস্তায় চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। শনিবার (১৭ মে) বিকেল ২টায় ইউনিয়নের খারাসাবাড়ি গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ২০টি ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু সাঈদ। তিনি বলেন, “২২ বছর আগে এই রাস্তাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে দু’জন নিহত হন। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি নির্মাণে সহায়তা করেন। এমনকি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার নিজস্ব জমি দান করে রাস্তার উন্নয়ন করেন। কিন্তু বর্তমানে মানিক মিয়া ও তার লোকজন আমাদের রাস্তায় চলাচলে বাধা দেন। স্কুল-মাদ্রাসাগামী ছেলে-মেয়েদের হেনস্তা করেন, মহিলাদের গালমন্দ করেন।”
স্থানীয় শিক্ষার্থী জান্নাতুল ইসলাম মীম (শ্রেণি ৬, জেলা প্রশাসন ল্যাবরেটরি হাইস্কুল) বলেন, “আমরা স্কুলে যেতে চাইলে মানিক আঙ্কেলের বাড়ির লোকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদের বাধা দেন, গালাগালি করেন। এ কারণে পাঁচ দিন ধরে স্কুলে যেতে পারিনি।”
৭৫ বছর বয়সী বাসিন্দা রজব আলী বলেন, “আমি একজন বৃদ্ধ এবং অসুস্থ মানুষ। তবুও রাস্তায় গেলে গালমন্দের শিকার হই। আমরা আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বের হতে পারি না।”
ভুক্তভোগী আয়তেরা বেগম অভিযোগ করেন, “অভিযুক্ত পরিবারের নারীরাও আমাদের গালাগালি করেন, হুমকি দেন।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত মানিক মিয়া মোবাইলে জানান, “আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই এলাকায় আগে কোনো রাস্তা ছিল না। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছি চেয়ারম্যানের কাছে। পরে তিনিই রাস্তা তৈরি করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সাথে কোনো সমস্যা ছিল না। শুধু নূর মিয়ার ছেলে ওয়াসিম উদ্দিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত ঝগড়া হয়েছিল, যার জের ধরে তারা মামলা করেছে।”
মানিক মিয়ার মা বলেন, “আমাদের পরিবারের কেউ কাউকে গালাগালি করেনি। বরং তারাই আমাদের উস্কানিমূলক কথা বলেন।”
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম আলী বলেন, “রাস্তাকে কেন্দ্র করে মারামারির একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”