Shahjahan Ali Manon, Saidpur (Nilphamari) Representative:
সৈয়দপুর (নীলফামারী):
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিসিক শিল্প নগরীতে একটি সীমানা প্রাচীর নির্মাণকালে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। শহরের প্রভাবশালী শিল্পপতি মো. মোস্তফা এই অভিযোগ তুলে সোমবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় নিজের প্রতিষ্ঠানের চেম্বারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মোস্তফা জানান, তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান “মেসার্স গাউসিয়া মেজর অটোমেটিক ফ্লাওয়ার মিলস”-এর পাশেই ২০০৮ সালে তাঁর ছেলে সারফরাজের নামে ৭ শতক জমি দলিলমূলে ক্রয় করা হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে রয়েছে। সম্প্রতি পৌরসভা থেকে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে প্রতিবেশী ব্যবসায়ী হাজী আফতাব আলম জোবায়ের এমাদীর ছেলে মুবাশ্বির প্রিন্স এমাদী এবং তার সাথে থাকা একটি বখাটে দল নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় ও হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, ঘটনার প্রতিবাদ করায় বিকেলে মানববন্ধনের নামে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হয়। প্রিন্স এমাদী তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও প্রচার করেন, যেখানে দাবি করা হয় জমিটি সরকারি এবং রোটারী ক্লাবের আওতাধীন খেলার মাঠ। এছাড়াও একটি পুরনো ছবি এডিট করে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের পাশে মোস্তফাকে জুড়ে রাজনৈতিক প্রচারণা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
মোস্তফা প্রশ্ন তোলেন, “যদি জমিটি সরকারি হতো, তাহলে দলিল, খাজনা ও খারিজ কিভাবে হয়েছে? ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ কীভাবে পেয়েছি?” তিনি দাবি করেন, প্রিন্স মূলত রোটারী ক্লাবের নাম ব্যবহার করে নিজেই জমি দখলের চেষ্টা করছেন।
এদিকে, অভিযুক্ত মুবাশ্বির প্রিন্স এমাদী বলেন, “জমিটি সরকারি এবং রোটারী ক্লাবের আওতাধীন। সেখানে আমরা ছোটবেলা থেকে খেলাধুলা করি। মোস্তফা ভূয়া কাগজ তৈরি করে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পরিশোধে জমিটি দখলের চেষ্টা করছেন। আমরা এলাকাবাসী সেই অপচেষ্টা রুখে দিয়েছি।”
ঘটনার দুই পক্ষের দাবির বিপরীতে জমির প্রকৃত মালিকানা ও দখল সংক্রান্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।