Mr. Mizanur Rahman Badal, Manikganj:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দেদারসে কাটা হচ্ছে ফসলি ও খাস খতিয়ানভুক্ত জমির মাটি। প্রভাবশালীরা দিনে মাটি কাটা বন্ধ রাখলেও প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে রাতের আধারে কালীগঙ্গা নদীর তীরের ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে নিরব ভুমিকা পালন করছে।
উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের পালপাড়া মৌজায় কালীগঙ্গা নদীর পূর্বপাশের তীর কেটে অবাধে মাটি বিক্রি করছে স্থানীয় একটি চক্র। চক্রটির মূলহোতা ইসলামপুর গ্রামের মোহসীন জিন্নাহর পুত্র সুমন মিয়া (৩৫)। দীর্ঘদিন ধরে দিনে- রাতে শত শত ট্রাক মাটি লুট হলেও স্থানীয় প্রশাসন এসব বন্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালীগঙ্গা নদীর ভাঙন রোধে কয়েকটি স্থানে শত কোটি টাকার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যে স্থান থেকে নদী তীরের মাটি কেটে নিচ্ছে তার পশ্চিম পাড়ে তীর সংরক্ষণ বাঁধের নির্মাণ কাজ চলছে।
সরেজমিন কথা হয় ইসলামপুর গ্রামের কামাল হোসেন, আমান বিশ্বাস,এমদাদুল, মুরাদ হোসেনসহ গ্রামবাসীর সাথে। তারা জানান, সুমন ও তার সহযোগী রায়হান, ওয়াহিদ, মাহবুব এবং ইমন প্রায় ২ মাস ধরে পালপাড়া মৌজার আর এস ৩৯৯৮ দাগের খাস জমিসহ তীরভুমি কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি অবাধে বিক্রি করছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গত ১৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও মাটি কাটা বন্ধ বা জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও তারা জানান। বেপরোয়া মাটি কাটার ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কবলে পড়তে পারে ওই স্থানের ১’শ মিটার দক্ষিণে নবাবগঞ্জ উপজেলার কুন্ডা মৌজার সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় ৫’শ পরিবারের মাথা গুজার ঠাই।
অভিযুক্ত সুমনকে একাধিক বার ফোন দিলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায় । তবে তার সহযোগী রায়হান বলেন, আমি মাটি কাটার সাথে জড়িত না। সুমন ভাইয়ের কাছ থেকে মাটি কিনে অন্যত্র বিক্রি করি।
চান্দহর ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান মাটি কাটার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এসিল্যান্ড স্যারকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ড.মনেয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, সিংগাইরের ইউএনও’র সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।