মাসুম পারভেজ, সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা):
গত কয়েকদিনের রাতভর ঝড়-বৃষ্টি ও পিচ্ছিল রাস্তায় রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন মহাসড়কে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব দুর্ঘটনার পরপরই হাইওয়ে পুলিশের তাৎক্ষণিক উদ্ধার তৎপরতা সাধারণ মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে ও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
গতকাল রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের তারাগঞ্জ বাজারে ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত সাত-আটজন যাত্রী আহত হন।
দুর্ঘটনার সাথে সাথে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিস সদস্যরাও। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় এবং গুরুতর আহতদের জন্য পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। একইসাথে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরাতে রেকার ব্যবস্থা করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং যারা অক্ষত ছিলেন তাদের পঞ্চগড়গামী অন্য বাসে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেয়।
অপরদিকে, একই রাতে বড়দরগাহ হাইওয়ে থানা এলাকার মাদারহাটে গরুবোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১২-১০৯৫) আইল্যান্ডে উঠে পড়ে, যখন একই দিক থেকে আসা একটি ধানবোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১২-২০৪৬) পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে উভয় ট্রাকের চালক ও হেলপার সাধারণ আঘাত পান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
হাইওয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে দ্রুত রেকার পাঠিয়ে ট্রাকগুলো সরিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক থেকে গরুগুলো উদ্ধার করে সেগুলোর মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে দুইটি গরু সামান্য আহত হলেও বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটেনি।
রংপুর হাইওয়ে রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, “মহাসড়কে দুর্ঘটনা এবং অপরাধ দমনে হাইওয়ে পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই তৎপরতা ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হবে ইনশাআল্লাহ।”