Faridpur Correspondent:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মঞ্জু মাতুব্বর এবং তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, হুমকি ও নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষদের ওপর হামলা, দোকান বন্ধ করে দেওয়া, হাটবাজারে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ৮নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে নটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ইদ্রিস মাতুব্বর ও সাধারণ সম্পাদক মো. বিকুল মাতুব্বর।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী মাহিন্দ্রচালক জাহিদ মোল্লা ও ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। জাহিদ অভিযোগ করে বলেন, “আমি ময়েনদিয়া বাজার থেকে ফেরার পথে মঞ্জু মাতুব্বরের লোকজন আমার কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তারা হাটে যেতেও নিষেধ করে।”
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, “দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা এসে দোকান বন্ধ করে দিতে বলে ও হুমকি দেয়। আমি ভয় পেয়ে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যাই।”
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় নেতা আনোয়ার হোসেন মোল্লা, ইমামুল, হাফিজাল, কামরুল হোসেনসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত মঞ্জু মাতুব্বর এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দলের নামে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং একাধিক হত্যা, ডাকাতি ও বিস্ফোরক মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. মঞ্জু মাতুব্বর সাংবাদিকদের বলেন, “আমি নির্দোষ। মূলত আক্কাছ মাতুব্বর গ্রুপের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে।” তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি।