মোঃ হারুন উর রশিদ,স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারীর ডোমারে আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে দোকান ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও ডোমারা থানা পুলিশ নিরব বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী উমর বিন আমিন রতন। এ সুযোগে ভুক্তভোগীকে প্রতিনিয়ত হুমকী দিয়ে আসছে প্রতিপক্ষরা। তাই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনুনুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে বুধবার (১৫/জুলাই) ডোমার থানায় পুনরায় অভিযোগ দায়ের করেন রতন।
দোকান ভাংচুরের ঘটনাটি সোমবার (৩০/জুন) বিকালে ডোমার পৌরসভার শাহপাড়া এলাকায় ঘটেছে। ভুক্তভোগী রতন ওই এলাকার মৃত নুরুল আমিন সম্রাটের ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন, তার ছোট ভাই ইউছুফ বিন আমিন শোভন ও নাসিরা সুলতানা শান্তা।
জানা যায়, মাতা মৃত মিনা আমিন ছোট রাউতা মৌজার ১/১ খতিয়ানের বি,এস ৪৪০ দাগে ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ক্রয়কৃত জমির উপর দুটি দোকন ঘর নির্মাণ করে বড় ছেলে রতনকে পরিচালনার দায়িত্ব দেন। আবার এস, এ ১৬৬ খতিয়ানে সাবেক ১১৮ দাগে ৬৩ শতাংশের মধ্যে ১২ শতাংশে রয়েছে বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। মাতার মৃত্যুর পর সকল সম্পত্তি ভাগ বন্টন না করেও ছোট ভাই শোভন বোন শান্তার কাছে নিজ অংশ বিক্রি করেন। এরপর দোকান দুটির মালিকানাও দাবী করেন তারা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছে।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী উমর বিন আমিন রতন বলেন, আমার ছোট ভাই বোন আমাকে মায়ের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে একাধিকবার হুমকী ও মারপিট করে। আমার ঘরের মালামাল চুরি করে,বাড়ি-ঘরের দেওয়াল ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ডোমার থানায় তিনটি মামলাও করা হয়। সেখানে আইনি সহায়তা না পাওয়ায় সর্বশেষ নীলফামারী আদালতে মামলা করি। আদালত দখল নিয়ে বিরোধের অস্তিত্ত থাকায় উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দেন এবং ডোমার সহকারী ভূমি কমিশনারকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন ও ডোমার থানাকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ দেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ নোটিশ পাওয়ার পরও আদালতের রায় উপেক্ষা করে দোকানের পিছনের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে। আমি ডোমার থানায় জানালেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি তারা।
দোকান ব্যবসায়ী রবিউল বলেন, ‘আমি রতনের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়েছি। কিন্তু দোকানে কোন মালামাল তুলতে পারিনি। তার ছোট ভাই শোভন বোন শান্তার ইন্দোনে আমাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে পিছনের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, শোভন একসময় ওই সম্পত্তির মালিক ছিলো এখন নেই। কারণ তার অংশ বিক্রি করে দিয়েছে ছোট বোনের কাছে। তিনি সোমবার বিকালে দোকান ব্যবসায়ীকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। তারপর কাজের লোকসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এসে দোকানের পিছনের দেওয়াল ভেঙ্গে দেয়। আমি মানা করি এবং বলি এখানে ১৪৪ ধারা জারি আছে। আইনী জটিলতায় পরবেন। তিনি আমাকে বলেন এখানে পুলিশ আসবে না। আমার বোন পুলিশকে সেটাপ দিয়ে রাখছে। আমরাও দেখলাম পুলিশ আসেনি।
অভিযুক্ত শান্তার স্বামী ময়নুল খন্দকার বলেন, ‘জমি আমার স্ত্রীর ছোট ভাই শোভনের ছিলো। তার কাছ থেকে শান্তা ক্রয় করে। স্থানীয় কমিশনারসহ গণ্যমান্য অনেকের উপস্থিতিতে ভাগ-বাটোয়ারাও করা হয়। রতন ভাই ওনার ভাগের সম্পত্তিতে বিল্ডিং নির্মাণ করেছে। কাগজ-পত্র সব আমাদের আছে। ’
এবিষয়ে জানতে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মুঠোফোন তুলেননি।