মুহাম্মদ মহসিন আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র বিজয়নগর উপজেলায় জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদের বাজার। প্রচন্ড রোদ ও তাপদাহকে উপেক্ষা করে নারী-পুরুষ ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন গার্মেন্টসসহ জামা কাপড়, কসমেটিক্স, জুতা ও অন্যান্য দোকানে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার নারী ক্রেতাদের আধিক্যতা বেশ লক্ষণীয়।
গ্রামের ক্রেতাগন শহর মুখি যেন না হয় সে লক্ষ্যে আমতলী, সিঙ্গারবিল, আউলিয়া বাজার ও চম্পকনগর বাজারের ব্যবসায়ীরা এবছর ভাল মানের পণ্য রাখার পাশাপাশি সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করছে বলে দাবী করেন। ছুটাছুটি করার ঝক্কিঝামেলা বিহীন কেনাকাটা করাটা এবছর ক্রেতাদের পছন্দ বলে ব্যবসায়ীদের দাবী। পণ্য পছন্দ হলে আগের মতো ক্রেতাগন দর কষাকষি তেমন করেনা। সহজেই বেচাকেনা সম্ভব হচ্ছে।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। উপজেলার চম্পকনগর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার ক্রেতাদের দিনভর দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দোকানপাটে। যাদের অধিকাংশ ক্রেতাই নারী। ঈদকে সামনে রেখে চম্পকনগর বাজারের বিভিন্ন দোকানে ঈদের বেচাকেনা জমে উঠেছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই জানালেন।
উপজেলার চম্পকনগর বাজারে কথা হয় টুকচাঁনপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম এর সাথে, পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করার ফাঁকে তিনি বলেন, এখান থেকে কেনাকাটা করে আমি সহ পরিবারের সবাই খুশি। সহজে ছেলেমেয়েদের পছন্দের ঈদ সামগ্রী কিনে দিতে পারছি। ঈদের বাজারে দরদাম বিষয় না। বাচ্চাদের পছন্দ হলেই ক্রয় করছি। জুতা, টু’পিছজামা, শার্ট-পেন্ট, শাড়ী ও পাঞ্জাবি কিনেছি। আলহামদুলিল্লাহ এবছরের ঈদে আমি অনেক খুশি।
উপজেলার আমতলী বাজার, আউলিয়া বাজার সিঙ্গারবিল ও চম্পকনগর বাজার সহ প্রায় সহ বাজারেই, গার্মেন্টস কাপড়, জুতাসহ বিভিন্ন দোকানে বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। অধিকাংশ দোকানেই দেখা যায় মহিলাদের বেশি ভিড়।
দোকানদাররা মনে করছেন স্বামী, পিতা বা ভাই বিদেশ থাকার কারণে মহিলাদের বাজারে এবার একটু ভিড় বেশি।
বিভিন্ন পণ্যের দামের বিষয়ে যথারীতি ক্রেতা বিক্রেতাদের বিপরীতমুখী মন্তব্য করতে শোনা যায়। ক্রেতারা বলছেন দাম একটু বেশিই আর বিক্রেতারা বলছেন বাজারদর হিসেবে ঠিকই আছে। তবে বেচাকেনার কমতি নাই।সব মিলিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঈদবাজার জমেছে গোটা বিজয়নগর উপজেলার সবকটি বাজারে।
পছন্দের ঈদ সামগ্রী কেনার জন্য এখন আর শহরে যেতে রাজি নয় অনেকে। ক্রেতারা মনে করেন, রমজান মাসে ছুটাছুটি কম করলে ভালো। গ্রামের বাজার গুলোতে ভাল মানের জুতা ও জামাকাপড় এখন সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার পরও ক্লান্ত হওয়ার ভয়ে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য লোকজন শহরে যেতে অনাগ্রহী।