নাজমুল আহসান, বরগুনা:
বরগুনার তালতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ২০টি দোকান ও ৫টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে বারো টার দিকে তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে হঠাৎ কড়াইবাড়িয়া বাজারের একটি পেট্রোলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে চারপাশের দোকান ও সবত ঘরে। পরে স্থানীয়রা তালতলী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তালতলী ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভাতে গেলে গাড়িতে পানি না থাকায় তারা আগুন নিভাতে ব্যর্থ হয়।পরে পাশের ডোবা থেকে মেশিনের মাধ্যমে পানি দেয়ার চেষ্টা করলে মেশিনে তৈল না থাকায় তাও ব্যর্থ হয়। পরে খবর দেয়া হয় আমতলী ফায়ার সার্ভিসকে। খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে পুড়ে যায় মুদি-মনিহারি, হার্ডওয়্যার, ফার্মেসি ও তেলের দোকানসহ ২০টি দোকান এবং ৫টি বসতঘর।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তালতলী ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা ও অপেশাদা কর্মকাণ্ডের কারণে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত তিন থেকে চার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ঐ বাজারের স্থানীয়রা জানান, ‘ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের গাফেলতির কারণে এমন অবস্থা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যদি নিজেরা সবসময় প্রস্তুত না থাকেন, তাহলে কি করে চলবে। এই দায় ফায়ার সার্ভিসের নিতে হবে।’
স্থানীয় পনু সিকদার বলেন, ‘কড়াইবাড়িয়া বাজারে এর আগে কখনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত তিন থেকে চার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ২০টি ব্যবসায়ীর পরিনার পথে বসে গেছেন।তালতলী ফায়ার সার্ভিস যখন ঘটনাস্থলে আসে তখন তারা যদি আগুন নিভানোর কাজ শুরু করতে পারতেন তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হতো,শুধু কমই না কিছু অংশ মাত্র ক্ষতি হতো।
ওই ঘটনা স্থলে বসেই তালতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা এ প্রশ্নের উত্তর থেকে এড়িয়ে যাচ্ছে।