জামিউল ইসলাম তুরান,শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিনকে নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা সদরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বাস্তবায়ন আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তাদের দেওয়া বক্তব্যকে ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ৷
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় শান্তিগঞ্জ বাজার চত্বরে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংবাদ সম্মেলনে ভিসিকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
সুবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সুবিপ্রবির প্রক্টর ড. শেখ আব্দুল লতিফ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী সারফুদ্দিন (পরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ), ফিন্যান্স ডিরেক্টর হিমায়েত মিয়া, নির্বাহি প্রকৌশলী মিনহাজ উদ্দিন, রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ ও কর্মচারী পংকজ চক্রবর্তী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা এখানে কারো দাসত্ব নয়, চাকরি করতে এসেছি। আমরা সুনামগঞ্জের শিক্ষার প্রসার ঘটাতে এসেছি। এখানে যারা চাকরি করেন সবাই ভালো ভালো অবস্থান থেকে এসেছেন। আমরা এখানে শুধু টাকার জন্য এখানে আসিনি৷ আমাদেরও মান সম্মান আছে। গত ২৩ তারিখ একটি সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে আমাদের উপাচার্যকে নিয়ে কোন প্রকার তথ্যপ্রমাণ ছাড়া ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা ও বানোয়াট যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে তাতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা আশা করবো যারা এই বিবৃতি দিয়েছেন তারা তা প্রত্যাহার করবেন৷ অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো।
বক্তারা আরও বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো চান না তারাই মিথ্যা অপপ্রচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রাকে আটকে দিচ্ছেন৷ বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় হবে সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই। আমরা এসেছি চাকরি করতে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কোন প্রাইমারী স্কুল নয় যে এই গ্রামে হবে না সেই গ্রামে হবে। এটা মুলত সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণের আমরা কেউ না। যারা আমাদের ভিসি মহোদয়কে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন আমরা মনে করবো তারা ফ্যাসিবাদের একটা অংশ এবং চলমান বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রমকে তারা বাঁধাগ্রস্ত করতে চান। সুনামগঞ্জবাসীকে এতে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্রীনিবাস করা হয়েছে এবং ছাত্রীরা নিরাপত্ত হুমকিতে আছে; সংবাদদ সম্মেলনে বক্তাদের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম অস্থায়ী কার্যালয়ে চালু হওয়ায় ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থার স্বার্থে সাবেক মন্ত্রী তাঁর বাসভবন ছেড়ে দিয়েছেন। আমরা সেটাও ভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরের জন্য জায়গা খুঁজছি। আর আমাদের ছাত্রীরা কোনো প্রকার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাছাড়া পাশেই শান্তিগঞ্জ থানা অবস্থিত। কাজেই এসব মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকে বাধাগ্রস্ত করে জেলাবাসীর ক্ষতি করবেন না।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।