এস কে রাসেল, দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলশী ইউনিয়নে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৯ মে) সকালে খলশী ইউনিয়নের ৭৩ জন নিবন্ধিত জেলে পরিবারের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক জেলেকে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও অভিযোগ উঠেছে, বাস্তবে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫০ কেজি করে।
স্থানীয় একাধিক জেলে জানান, “আমরা মাছ ধরা বন্ধ করে সরকারের নির্দেশ মেনে চলছি। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এখানে আমাদের হক অনুযায়ী ৮০ কেজির বদলে দেওয়া হয়েছে ৫০ কেজি চাল। আমরা এই অনিয়মের বিচার চাই।”
অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান এর আগেও এ ধরনের অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তবে উপজেলা প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি বারবার একই কৌশলে সরকারের বরাদ্দকৃত চাল থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করছেন।
চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান এ বিষয়ে বলেন, “আমি ট্যাগ অফিসারের সঙ্গে কথা বলেই জেলেদের ৫০ কেজি করে চাল দিয়েছি।”
তবে ট্যাগ অফিসার জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী শুভঙ্কর মন্ডল জানান, “আমি ছুটিতে ছিলাম, চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছিলাম বিতরণ পিছিয়ে দিতে। তিনি তা না মেনে নিজ উদ্যোগে বিতরণ করেন। আমি আমার একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলাম। চাল কম দেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দৌলতপুর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার তন্নী বলেন, “চাল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তালিকাভুক্ত ৭৩ জন জেলেকেই ৮০ কেজি করে চাল দিতে হবে।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান নুরেন বলেন, “সরকার নির্ধারিত পরিমাণ চাল থেকেই জেলেদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ কম দিলে তা তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিকবার অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় তার অপকর্ম চলছেই। এখন দেখার বিষয়, এবার তদন্তের মুখে তিনি আদৌ জবাবদিহিতার আওতায় আসেন কিনা।