মো. নাছির উদ্দিন, চাঁদপুর:
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার অধীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ইউএনও’র বাসভবন পর্যন্ত সড়ক মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, কার্পেটিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না বিটুমিন; কোনো প্রকার তদারকি ছাড়াই কাদাযুক্ত সড়কে চলছে নিম্নমানের ঢালাই কার্যক্রম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কচুয়া পৌরসভার এসও মো. জসিম উদ্দীনের উপস্থিতিতে চলছিল কার্পেটিংয়ের কাজ। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এ ধরণের কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, দেখা যায়নি তার কোন সঠিক প্রয়োগ। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা বিটুমিন কিংবা কেরোসিনের কোনো গন্ধ বা চিহ্ন পাননি, যা সাধারণত এই ধরণের কাজের সময় ব্যবহার হয়।
কার্পেটিং শুরুর আগে রাস্তা পরিষ্কার করার কথা থাকলেও কাঁদা ভরা রাস্তার উপরেই ঢালাই চলছে। কাদলা গ্রামের বাসিন্দা হালিম বলেন, “যেভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে। এটা স্পষ্টতই নিম্নমানের কাজ।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রকৌশলী জানান, “বিটুমিন প্রয়োগের মাধ্যমে পুরোনো রাস্তার সঙ্গে নতুন অংশের ভালোভাবে সংযোগ (বন্ডিং) গড়ে ওঠে। ময়লা-আবর্জনার মধ্যে কার্পেটিং করলে তা টিকবে না।”
ঘটনার তথ্য সামাজিক মাধ্যমে “Bangla FM” চাঁদপুর প্রতিনিধি পোস্ট করার পর, কচুয়া পৌরসভার প্রকৌশলী কাজী মো. ফজলুল হক ও এসও মো. জসিম উদ্দীন প্রতিনিধি’কে পোস্টটি মুছে ফেলার অনুরোধ জানান।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রকৌশলী কাজী মো. ফজলুল হক বলেন, “আমি সকালে কাজের স্থানে ছিলাম। তবে এখন ঢাকায় যাচ্ছি ছেলের ভর্তি সংক্রান্ত কাজে। ফিরে এসে বিস্তারিত কথা বলব। পোস্টটি ডিলেট করে দিন।”
অন্যদিকে কচুয়া পৌরসভার প্রশাসক ও ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) গোলাম জাকারিয়া বলেন, “পৌরসভার দায়িত্ব ইউএনও সাহেবের অধীনে। তবুও যেহেতু আমাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, আমি তা খতিয়ে দেখব।”