Md. Sayedur Rahman, Staff Reporter :
শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অপসারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) শিবালয় উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তেওতা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী আব্দুল মালেক।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে একই পদে থেকে একাধারে ক্যাশিয়ার ও প্রধান সহকারীর দায়িত্ব পালন করছেন। এতে করে তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি কর্মচারীদের সরকারি ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছেন এবং কোয়াটার বরাদ্দে ঘুষ লেনদেনসহ নিজের পছন্দের লোকদের বরাদ্দ দিয়েছেন।
এছাড়া, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে ড্রাইভার না থাকায় ব্যক্তিগত ড্রাইভার ব্যবহার করে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করারও অভিযোগ ওঠে, যা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করা হয়। উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার পর কর্মচারীদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করা, কাজ না করা, এমনকি সার্ভিস বুকে জটিলতা তৈরি করার কথাও উল্লেখ করা হয়।
তারা আরও অভিযোগ করেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালনের নামে ভুয়া বিল তৈরি করে পুরো অর্থ আত্মসাৎ করেছেন আশরাফুজ্জামান। ঈদের আগের বকেয়া বেতনেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়েও দ্বিতীয় শ্রেণির কোয়াটারে বসবাস করছেন এবং ওটি রুমের এসি নিজ বাসায় ব্যবহার করছেন বলেও দাবি করা হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী মাহবুবুর রহমান, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আফরোজা আক্তার, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সিএইচসিপি তপন কুমার ঘোষ ও আরতি সাহা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।