Saiful Islam, Baufal (Patuakhali):
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ডিয়ারা কচুয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৪০০ পরিবেশবান্ধব গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গাছগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছে, গ্রামের মাতুব্বর বাড়ির ২১ একর ৩৬ শতাংশ জমির মধ্যে ১৪ একর ২৪ শতাংশ জমিতে তারা মেহগনি, চাম্বল ও রেইনট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাদের আত্মীয় শাকিব হাসান ওরফে সিজার মাতব্বর তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সেই জমি দখল করে এবং গত শনিবার ও সোমবার—দুই দফায় প্রায় ৪০০ গাছ কেটে নেয়।
মো. বাবুল মাতব্বর ও সামসুল হক মাতব্বর অভিযোগ করেন, শাকিবের পিতা আবদুল লতিফের পরিবার জমি বিক্রি করে দিলেও শাকিব এখন জোরপূর্বক দখল নিয়ে চাষাবাদ করছেন এবং তাদের অংশের গাছ কেটে নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাছগুলো ট্রলারে বোঝাই করে রাখা হয়েছে এবং সড়কের ওপরও কিছু গাছ রাখা আছে। স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী ইব্রাহিম বলেন, “গাছগুলোর মূল্য প্রায় আট লাখ টাকা।”
গাছ কাটার শ্রমিক রিয়াজ সরদার বলেন, “শাকিব হাসানের নির্দেশে আমরা আটজন শ্রমিক তিনটি করাত মেশিন দিয়ে গাছ কেটেছি।”
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মো. হাবিবুর রহমান ও দফাদার মো. কোভিদ হোসেন জানান, ওসি স্যারের নির্দেশে তারা গাছ কাটতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ তা না শুনে আবারও গাছ কাটে। বিষয়টি স্থানীয় এসআই মো. শাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত শাকিব হাসান সিজার বলেন, “গাছগুলো আমার পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর লাগানো, তাই আমি কেটেছি। পুলিশ কিছু করতে পারবে না।”
বাউফল থানার ওসি মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “গাছ কাটার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ ও দফাদার পাঠানো হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকে গাছ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রয়োজন হলে তারা কোর্টে মামলা করতে পারবেন।”