Shahadat Babu, Noakhali correspondent
নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পর এই হামলা ঘটেছে।
শনিবার (১০ মে) গভীর রাতে নোয়াখালী পৌরসভার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের পিন্টুর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে ঢোকে, যাদের প্রত্যেক মোটরসাইকেলে দুই থেকে তিনজন করে ছিল। হামলাকারীরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে এবং বাড়ির সামনে রাখা তিনটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এক পর্যায়ে নিচ তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়, যা প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলতে থাকে।
আবদুল ওয়াদুদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা আতঙ্কিত হয়ে একটি কক্ষে আশ্রয় নেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ফোন করেন। হামলাকারীরা বাড়ির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় বিভিন্ন কক্ষে হামলা চালিয়ে মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ওয়াদুদের স্ত্রী সাবরিনা মাহজাবিন জয়ন্তী অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘরেও হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা হামলার শুরুতে ‘জিয়ার সৈনিক’ শ্লোগান দিয়েছিল, তবে জয়ন্তী তাদের কাউকে চিনতে পারেননি। হামলার পর স্থানীয়রা এসে আগুন নেভায়।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর বলেন, “আমাদের দল এই ধরনের হামলার সমর্থন করে না। বিএনপির কেউ এই হামলা করেনি, এটি অন্য কেউ হতে পারে।”
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, “হামলাকারীরা গ্লাস ভাঙচুর করেছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিদর্শন করেছে, তবে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।”