Md. Hamidur Rahman Limon, Crime Reporter:
পাগলাপীর দারুচ্ছালাম দখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি আলোচিত ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন জাদুর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী সুপার ও নিরপত্তা কর্মি এই দুটি নিয়োগের বিনিময়ে পাওয়া ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির সুপার তাজুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি নিজেকে জ্ঞানী পরিচয় জাহির করে সেবার আড়ালে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়ার কথা বলে অনেকের কাছে টাকা নিয়ে কার্ড করে দিয়েছেন। আত্মসাৎ করেছেন অনেকের টাকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিওটির হবহু তুলে ধরা হলো।
সাংবাদিক-পাগলাপীর দারুচ্ছালাম দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট সাহেব বলছেন? সুপারঃ জ্বী বলছি। সাংবাদিকঃ জাদু মেম্বার আপনার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি? সুপারঃ হ্যা। ছিলেন। সাংবাদিকঃ জাদু মেম্বার যে আপনার প্রতিষ্ঠানের ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সেই সম্পর্কে একটু জানতে চাচ্ছি আর কি? সুপারঃ হ্যা ঐটা ঠিকেই আছে। ঐটা দেই দেই আর দিচ্ছে না। একটা ব্যাপার আছে কি জমি কেনা বেচার একটা বিষয় ছিল। সাংবাদিকঃ জমি কেনার জন্য টাকা নিয়েছিল আসলে কি জমি কেনা হয়েছি? সুপারঃ না এখন কেনা হয়নি। এখন আজ দেই কাল দেই করতেছে। এখন রমজানের পর দেখি ওটা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে হবে।
সাংবাদিকঃ আপনার বর্তমান সভাপতি কে আছেন? সুপারঃ ইউএনও, সাংবাদিকঃ আপনি ইউএনও মহাদয়কে বলছেন? সুপারঃ না এই পয়সা টা আসলে একটা নিয়োগ পারপাসের টাকা। এই টাকা কথা বলি পরে বোঝেন নাই। সাংবাদিকঃ কয়জনকে আপনারা নিয়োগ দিয়ে ছিলেন? কোন কোন পদে নিয়েগ দিয়েছিলেন? সুপারঃ দুইজন। ১। সহকারী সুপার ২। নিরপত্তা কর্মি। সাংবাদিকঃ আপনার এই নিয়োগ পারপাসের সকল টাকা কি সভাপতি আত্মসাৎ করেছেন? সুপারঃ এখন পর্যন্ত তো দিল না। এখন দিতে চায় দেয় না এই অবস্থায় আছেন আরকি। সাংবাদিকঃ দুই নিয়োগ পারপাসে কত টাকা লেনদেন হয়েছে। সুপারঃ মোট ১২ লক্ষ টাকা লেন দেন হয়েছে। এটা কেন্ডিডেট এর ভাষ্য। সাংবাদিকঃ আপানাকে জাদু সাহেব কি বলছে? সুপারঃ এই তো দিতে চায়। জমি কিনে দিয়ে চায়। এই করব সে করব। সাংবাদিকঃ কেন্ডিডেট দুই জনের নাম কি কি? সুপারঃ ১। শাহাজান আলী, সহকারী সুপার।২। মেহেদী হাসান, নিরাপত্তাকর্মি। সাংবাদিকঃ আপনার নাম কি? সুপারঃ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকঃ কত বছর থেকে আপনাকে দিব দিব করে ঘুড়াচ্ছে? সুপারঃ প্রায় বছর ক্ষানিক হয়। সাংবাদিকঃ আপনার রিসেন্ট কতদিন আগে জাদু মেম্বারের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন? সুপারঃ মাস ক্ষানিক আগে ধরছিলাম। ধরছিলাম বলতে বাড়িত গেলে দেখা পাওয়া যায় না। মেলা গেছি বাড়ি অবশ্যই যে আপনি এটা ইয়া করলেন এখন সমাধান করে দেন। শুধূ বলে দিচ্ছি দিচ্ছি। সাংবাদিকঃ আপনি এখন এটাকে নিয়ে করতে চাচ্ছেন বা কি করবেন? সুপারঃ রোজা রমজান মাস বের হলে আমি একটা সুধি সমাবেশ ডাকবো। ডাকিয়া কি করা যায়।