Gaibandha Correspondent:
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা সদরের চারমাথা মোড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পুরোনো গাছের নিচে বসবাস করছেন যমুনা টিভি ও বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ ও তার পরিবার। একইসঙ্গে ওই বাড়ির সামনের দোকানপাট পরিচালনা করছেন ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীরাও। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই গাছগুলোর কারণে সকলেই চরম মৃত্যুভয়ে দিন পার করছেন।
সাংবাদিক পলাশ জানান, ব্রিটিশ আমল থেকে পারিবারিক মালিকানাধীন ৮ শতক জমিতে তাদের বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই বাড়ির সীমানা ঘেঁষে প্রতিবেশী জাকিউল হক মানিকের জমিতে অবস্থিত ৫-৬টি বিশালাকৃতির মেহগনি গাছ বয়সজনিত কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। গাছগুলোর ডালপালা তাদের বাড়ির দিকে হেলে পড়ায় সামান্য বাতাসেই তা দুলতে থাকে—ফলে শিশুরাও ঘরে ভয় পায়।
তিনি অভিযোগ করেন, “প্রতিবেশী মানিক পূর্ব থেকেই প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছেন। গাছগুলো কেটে ফেলা কিংবা অপসারণে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও তিনি অস্বীকৃতি জানান।”
প্রশাসনের ‘দায়সারা’ তদন্তে ক্ষুব্ধ পরিবার
সাংবাদিক পলাশ জানান, গত ১৯ মে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস পর ১৮ জুন ইউএনও যে প্রতিবেদন দেন, তাতে কোনো সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়াই ‘জমিতে সরকারি স্বত্ব নেই’ এবং ‘আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলমান’—এই যুক্তিতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করা হয়।
He said,
“উল্লেখিত জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই ইউএনও চাইলে দণ্ডবিধির ১৩৩ ধারা অনুযায়ী গাছ অপসারণে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন।”
এ বিষয়ে গত ২২ জুন আবারও লিখিত আবেদন করেছেন বলেও জানান তিনি।
ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে
ঘটনাস্থলের ব্যবসায়ীরা জানান, গাছগুলো এতটাই হেলে পড়েছে যে, সামান্য ঝড়েই চালার ওপর পড়ে যায় ভয়ে থাকেন তারা।
Businessman মিলন মন্ডল বলেন, “একটি মেহগনি গাছ আমাদের দোকানের চালের সঙ্গে লেগে আছে। আমরা দিন-রাত আতঙ্কে থাকি, কখন বিপদ ঘটে।”
স্থানীয়দের ক্ষোভ
এলাকাবাসীরা জানান, বিষয়টি শুধু একটি পরিবারের নয়—এটি জননিরাপত্তার বিষয়। প্রশাসনের উদাসীনতা এবং গাছ মালিকের প্রভাবের কারণে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একাংশও জানায়, গাছ মালিক জাকিউল হক মানিক এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জমি বিরোধে জড়িয়ে আছেন এবং অন্তত ৮-১০টি মামলায় জড়িত। এলাকাবাসীর দাবি, তাকে আইনের আওতায় এনে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
ইউএনও ও গাছ মালিকের বক্তব্য
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম Said,
“সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জমিতে সরকারি কোনো স্বত্ব নেই এবং মামলাজট থাকায় প্রশাসনের করণীয় নেই।”
অপরদিকে, গাছ মালিক জাকিউল হক মানিক Said,
“প্রতিহিংসার কিছু নয়, জমির মামলা চলায় গাছ কাটা সম্ভব হচ্ছে না।”
এলাকাবাসীর দাবি
তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন—মামলা থাকলেও যদি গাছগুলো প্রাণহানির আশঙ্কা সৃষ্টি করে, তবে তা অপসারণে প্রশাসনের কি কোনো দায় নেই?
তারা অনতিবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং গাছগুলো অপসারণ করে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।