শাহাদাৎ বাবু, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ঝড়ো আবহাওয়া ও উঁচু ঢেউয়ের কবলে পড়ে ৩৯ যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া একটি ট্রলার থেকে এখন পর্যন্ত ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক পুলিশ সদস্য ও এক শিশু।
শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার করিমবাজার সংলগ্ন ডুবাচরের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রোববার (১ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা।
নিহতরা হলেন:
- মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৩) – সাব পোস্ট মাস্টার, ভাসানচর থানা; বাড়ি ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামে।
- হাসিনা খাতুন (২৫) – রোহিঙ্গা নারী, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১নং ক্লাস্টারের মো. তারেকের স্ত্রী।
নিখোঁজরা হলেন:
- সাইফুল ইসলাম (২৮) – পুলিশ কনস্টেবল, সুধারাম থানা।
- মো. তামিম (৩) – রোহিঙ্গা শিশু, ভাসানচর ক্যাম্পের মো. তারেকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে ৪ জন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মীসহ মোট ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথিমধ্যে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবাচরের কাছে পৌঁছালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ওসি আজমল হুদা জানান, “৩৫ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। রোববার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকা থেকে রোহিঙ্গা নারী হাসিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”