Staff Reporter:
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিরোজপুরের নাজিরপুরের ৩ নং দেউলবাড়ী ইউনিয়নে ৬জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছ।
অভিযুক্তরা হলেন দেউলবারী গ্রামের নজরুল ইসলামের দুই ছেলে এমদাদুল্লাহ (৪০) ও নুরুল্লাহ (৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে উপজেলার দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের দেউলবাড়ী গ্রামের তাজাম্বুল হোসেন দফাদারের বাড়ির সামনের রাস্তায়।
স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর অসুস্থ পাঁচজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন ও একজনকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্বজনরা জানান, স্হানীয় নজরুল ইসলামের দুই ছেলে ইমদাদুল্লাহ (৪০) নুরুল্লাহ (৩৫) এর সাথে সীমানা সংক্রান্ত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধ মীমাংসায় একাধিকবার সালিস-বৈঠক হলেও কোনো সুরহা হয়নি।পরবর্তীতে গতকাল দিনের বেলায় প্রতিপক্ষেদের সাথে বিরোধ দেখা দিলে একপর্যায়ে স্থানীয়রা সমাধান করে দিবে বলে বিরোধ থেমে যায়।
এরপরে বিষয়টি স্থানীয় তাজাম্বুল হোসেন দফাদারের মাধ্যমে সমাধানের লক্ষ্যে আহতরা তার কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রাত পৌনে বারোটার দিকে বের হয়ে দফাদারের বাড়ির সম্মুখ রাস্তায় পৌঁছালে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ এমদাদুল্লাহ ও তার ভাই নুরুল্লাহ ধারালো দা দিয়ে প্রতিবেশী আলাউদ্দিন এর ছোট ছেলে জসিম ( ২৮) মৃত সোবহানের ছেলে সাহাবুদ্দীন (৫০) রফিকুল ইসলামের ছেলে ইয়াছিন (২২) মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আজাদ শেখ (৪৫)শাহাবুদ্দিনের ছেলে কাওসার (২২) মোঃ আজাদ মিয়ার ছেলে রাজু শেখ (২৩) কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তাদের ডাক-চিৎকার শুনে স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় ।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার অশেষ প্রতীম রায় বলেন,রাত তিনটার দিকে চিকিৎসার জন্য ছয় জন এসেছিল। এদের মধ্যে একজন আমাদের এখানে ভর্তি আছে। বাকি পাঁচজনের অবস্থা খুব ই খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার্ড করেছি। এদের দুজনের জীবন খুব ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বাকি তিনজনের ক্ষত খুব ই মারাত্মক ছিল। অবস্থা খুব ই খারাপ হওয়ায় আমরা তাদেরকে রেফার্ড করেছি খুলনায়।
এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহামুদ আল ফরিদ ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা পাঠিয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।