Naogaon Correspondent:
মাত্র ৫০০ টাকায় তৈরি এক বিশেষ যন্ত্র দিয়ে ১২০ থেকে ১৩০ ফিট গভীর মাটির নিচে পড়ে যাওয়া সাবমার্সিবল পাম্প অনায়াসে তুলে আনা সম্ভব—এমনই উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহীর শহীদ জিয়া শিশু পার্কের ম্যানেজার ও প্রকৌশলী সোহেল রানা। দেশীয় প্রযুক্তিতে নিজস্ব ওয়ার্কশপে তৈরি করা এই ‘অটো বাইটিং পোলার’ ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে সফলতা পেয়েছে।
যন্ত্রটিতে ব্যবহৃত হয়েছে সাধারণ লোহার পাত, স্প্রিং ও কবজা। পাইপের ভেতর দিয়ে পোলারটি নিচে নামিয়ে একটি তার টেনে দিলে সেটি নিচে থাকা মটর বা পাইপকে শক্তভাবে আটকে ধরে। এরপর খুব সহজে উপরের দিকে টেনে তা তোলা যায়।
ইঞ্জি. সোহেল রানার ভাষ্য অনুযায়ী:
“আমার নিজের পার্কে একটি ডিপ টিউবওয়েলের মটর ছিঁড়ে পড়ে গিয়েছিল। একাধিক মিস্ত্রি এসে চেষ্টা করেও সেটি তুলতে পারেননি। তখন আমি নিজেই যন্ত্র বানানোর সিদ্ধান্ত নিই। মাত্র এক দিনের চেষ্টায় তৈরি করি এই পোলার। প্রথমবারেই ১৩০ ফিট গভীর থেকে মটর তুলতে পেরেছি।”
এই যন্ত্রটি খরচে সাশ্রয়ী, প্রযুক্তিতে সহজ এবং কার্যকারিতায় প্রমাণিত। ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা সাবমার্সিবল পাম্প নিয়ে সমস্যায় পড়েন, তাদের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী সমাধান হতে পারে।
শহীদ জিয়া শিশু পার্কের ওয়ার্কশপেই যন্ত্রটি তৈরি হয়। এ কাজে ইঞ্জি. সোহেল রানাকে সহযোগিতা করেন পার্কের এডমিন জহির রায়হান আলাল, সুপারভাইজার তৌফিক হায়দার ও মার্কেটিং অফিসার রাসেল।
সহযোগীরা বলেন:
“আমরা সোহেল ভাইয়ের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এই যন্ত্র তৈরিতে অংশ নিতে পেরে গর্বিত। এতে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে এবং এটি বাজারজাত করা গেলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যন্ত্রটি সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের টিউবওয়েল ও সাবমার্সিবল পাম্প খাতে এক নতুন বিপ্লব ঘটতে পারে। একইসঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে যন্ত্রটি তৈরি ও সরবরাহ করে অনেক বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।