Shahiduzzaman Shimul, Satkhira:
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে নিউমার্কেট মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক আশেক ই এলাহী, সময় টিভির প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপ্পি, মুক্ত স্বাধীনের সম্পাদক আবুল কালাম, এসএ টিভির শাহিন গোলদার, যমুনা টিভির আকরামুল ইসলাম, এশিয়ান টিভির মশিউর ফিরোজ, দৈনিক কালবেলার গাজী ফরহাদসহ অনেক সাংবাদিক।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আবুল কাসেম বলেন, “সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা—একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সে লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। কিন্তু কিছু সদস্য গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে একটি মনগড়া কমিটি গঠন করে সাধারণ সদস্যদের প্রবেশে বাধা দেয়। সোমবার পূর্বঘোষিত সাধারণ সভায় অংশ নিতে গেলে প্রেসক্লাবের সামনেই হামলার শিকার হই।”
প্রসঙ্গত, সোমবার প্রেসক্লাবে প্রবেশের সময় রাস্তায় ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা লাঠি, রড, হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক বেলাল হোসেন, সদস্য আমিনুর রহমান, ইদ্রিস আলীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নম্বর-১)। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬/১১৪ ধারা উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, পুলিশ মৃগিডাঙ্গা গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত যুবক সাব্বির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের আহ্বানে মঙ্গলবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৮ জুলাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আরেকটি সভা ডাকা হয়। সে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।