(ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারীর তৈরি করা একতারা, দোতারা, সরোস, সরোত, খুনজুড়ি যাচ্ছে কুষ্টিয়ার লালন শাহর মাজার সহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায়। এমন কি ইন্ডিয়াতে যাচ্ছে বলে জানান কারখানার মালিক সাধু হেলাল।

গত বুধবার উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কালিবাড়ি হেলাল সাধুর ছোট কারখানায় গিয়ে দেখা যায় একতারা, দোতারা, সরোস, সরোত ও খুনজুড়ি তৈরি করছে চারজন শ্রমিক।
হেলাল সাধুর বাড়ি রুপাপাত ইউনিয়নের ডহরনগর গ্রামে। সে গত সাত বছর ধরে এ কারখানায় এ সকল বাদ্যযান্ত্র তৈরি করে আসছে।
হেলাল সাধু জানান, তার কারখানার তৈরি বাদ্যযন্ত্র কুষ্টিয়ার লালন শাহর মাজার, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মাগুরা জেলাসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় পাইকারী বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া আশ পাশের বড় বড় মেলায় বিক্রি করা হয়। তিনি আরো বলেন, ভারতেও এ বাদ্যযন্ত্র পাঠানো হয়। তার এ কারখানায় নিয়মিত চারজন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন সাতশত টাকা করে মুজুরি দিতে হয়। এ কারখানা থেকে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা আয় হয়।
একতারা ১৫০ টাকা থেকে ১২ শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয় এবং প্রতিটি দোতারা, সরোস, সরোত ৪ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যম্ত বিক্রি করা হয়।
রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সোনা মিয়া বলেন, এক সময় গ্রামাঞ্চলের মানুষ লোকসংগীত, ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি, ভাইয়া গান গেতো একতারা দোতারা বাজিয়ে। ছোটবেলায় দেখছি বর্ষার সময় বাড়ির উঠানে রাতে লোকজন জড়ো হয়ে একতারা দোতারা নিয়ে ওই সকল গান গেতো। এখন তা বিলুপ্তি হয়ে গেছে। যে কারণে একতারা দোতারা এখন আর তেমন দেখা যায় না। হেলাল সাধু একতারা দোতারা সরোস সরোত তৈরি করে একদিকে জীবিকা নির্বাহ করছে অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছরিয়ে দিচ্ছে। তার এ কারখানা চালানোর জন্য আমাদের উৎসাহ দেয়া উচিত।