আসাদুজ্জামান মিয়া, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় দেওয়ান শাগের শাহ মাঝারে গত ৪ শত বছরের ধরে ঘোড়া দৌড় মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এক সময় ঘোরা দৌড় অনুষ্ঠিত হলেও গত ২০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ঘোড়া দৌড় । তবে মেলা হয় জাঁকজমক প্রতিবছর। ৭ থেকে ৮ দিন ধরে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলা দেখার জন্য মেলার আশপাশ ইউনিয়নে এবং গ্রামে দূর দুরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসে। মেলাটি প্রতিবছরের ১২ই চৈত্র অনুষ্ঠিত হয়। এক সপ্তাহ আগে থেকে বিভিম্ন রকম দোকান আসতে শুরু করে।
মেলার প্রধান আকর্ষণ শ্বাস বাতাসা, রসগোল্লা। কসমেটিক, খেলনা, খাট সহ কয়েক হাজার দোকান বসে।
এ বছর স্থানীয়দের অন্ত কোন্দলের কারণে মেলা মিলানোর জন্য দুই কমিটি, কমিটির অনুমোদন চেয়ে প্রশাসনের নিকট আবেদন করেন। এই কমিটিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষেই মামলা করেন। যার কারনে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রশাসন অনুমতি দেননি। যে সকল দোকান পাট আসছে স্থানীয়দের কথাবার্তা শুনে তারা চলে যাচ্ছে।
এক পক্ষের মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজাদ মোল্যা বলেন, গত ৪ শত বছর যাবত কাটাগড় ঐতিহ্যবাহী মেলা মিলে আসছে। এ বছর স্থানীয়দের মধ্যে অন্ত কোন্দলের কারণে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুই গ্রুপ মেলার কমিটি বানিয়ে অনুমতির জন্য প্রশাসনের নিকট আবেদন করেন। মেলা কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপে মারামারিও হয়। মারামারির ঘটনায় মামলাও হয়। অনেকেই জেলে আছে আবার অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। প্রশাসন জানিয়েছিলেন যদি আপনারা দুই গ্রুপ মিলেমিশে মেলা মিলাতে পারেন তাহলে মিলান।
তিনি আরো বলেন, দুই গ্রুপ এক হওয়ার কোন সুযোগ নেই তাই এ বছর মেলা বন্ধ থাকবে। যে সকল দোকানপাট আসছে তারা এমনিতেই চলে যাচ্ছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান বলেন,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব কিছু জানানো হয়েছে। অনুমতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই দেখবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, মেলা মিলানোর জন্য দুই গ্রুপে কমিটির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তাদেরকে বলা হয়েছে দুই গ্রুপ যদি এক হতে পারেন তাহলে মেলা মিলান। তারা দুই গ্রুপ এক হতে পারবে না বিধায় মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ ওই এলাকায় মেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গ্রুপেরই মামলা হয়। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওরশ শরীফ করতে কোন বাধা নেই।