ফিরোজ ফরাজী, রাঙাবালী প্রতিনিধি (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর রাঙাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের তিল্লা গ্রামে একটি খালের পাশের ঝোপঝাড় থেকে আব্দুর রহিম সরদার (৮৫) নামের এক বৃদ্ধের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। কঙ্কালের পাশে পড়ে থাকা টুপি, লুঙ্গি, গেঞ্জি ও জুতার ভিত্তিতে মরদেহটি শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
রবিবার (২৫ মে) দুপুরে মৃতের ছোট ছেলে মোস্তফা সরদার ঝোপের মধ্যে কঙ্কালটি দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে বিকেল ৫টার দিকে রাঙাবালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠায়।
রাঙাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমারৎ হোসেন জানান, “কঙ্কালের পাশে কোনো মাংস ছিল না। প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
নিখোঁজের রহস্য
আব্দুর রহিম সরদার তিন ছেলের বাড়িতে পালাক্রমে থাকতেন। সর্বশেষ তিনি মেঝো ও ছোট ছেলের বাড়ি থেকে বড় ছেলে মান্নান সরদারের বাড়িতে যান। সেখান থেকে ফেরার পর তিনি নিখোঁজ হন, তবে পরিবার সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেনি তিনি ঠিক কবে নিখোঁজ হন। পরিবার জানায়, প্রায় ১১ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন, তবে ২–৩ দিন আগে তারা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
পরিবারের কেউ নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেননি।
পরিবার ও স্থানীয়দের বক্তব্য
ছোট ছেলে মোস্তফা সরদার বলেন, “বাবা হৃদরোগে ভুগছিলেন। হয়তো অসুস্থ অবস্থায় পড়ে গিয়ে মারা যান এবং পরে শেয়াল-কুকুরে মরদেহ ছিন্নভিন্ন করেছে।”
তবে স্থানীয়দের কেউ কেউ মনে করছেন, “বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর পরিবারের অবহেলায়ই এমন পরিণতি হয়েছে।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।