ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠি পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের বান্দাঘাট মোড় থেকে কাঠপট্টি ট্রলার ঘাট পর্যন্ত সড়কটি অবশেষে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে দুইটি স্থানীয় সামাজিক সংগঠন। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী সড়কটি অবশেষে সংস্কার হচ্ছে স্বেচ্ছাশ্রমে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা এবং জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। স্থানীয়দের দাবি, বারবার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও নেয়া হয়নি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ। এমনকি ২০২৩ সালের ১২ জুলাই এ সড়কের ওপর কচুগাছ লাগিয়ে অভিনব প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন এলাকাবাসী। তাতেও কাজ না হওয়ায় এবার সামাজিক সংগঠন ‘সিটি ক্লাব ও পাঠাগার’ এবং ‘অসীমাঞ্জলী ফাউন্ডেশন’ রাস্তাটির আংশিক সংস্কারে এগিয়ে আসে।
রবিবার (১ জুন) সকাল ৯টায় বান্দাঘাট মোড় থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজ শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান, সিটি ক্লাবের উপদেষ্টা শহিদুজ্জামান অশ্রু, সভাপতি গৌতম সরকার বাবু এবং অসীমাঞ্জলী ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় জনগণ।
সিটি ক্লাবের সভাপতি গৌতম সরকার বাবু বলেন, “এই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বহু বছর ধরে। তাই পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে আমাদের দুটি সংগঠন মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজ শুরু করেছি। যাতে অন্তত ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারেন।”
ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান বলেন, “এই রাস্তাটির বিষয়ে বহুবার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। ২০২৩ সালের প্রতিবাদের পরেও কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়নি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন দ্রুত এ রাস্তাটির স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।”
স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, “বর্ষা এলেই এ রাস্তায় হাঁটাচলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য এটি হয়ে ওঠে বিপজ্জনক। স্বেচ্ছাশ্রমে যারা কাজ করছেন, তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
স্থানীয়রা মনে করছেন, জনগণের এ ধরনের সম্মিলিত উদ্যোগ একদিকে যেমন সচেতনতার বার্তা দেয়, অন্যদিকে এটি সরকারি কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব পালনে আরো উৎসাহিত করতে পারে। এলাকাবাসীর দাবি, পৌরসভা দ্রুত স্থায়ী সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিক, না হলে এই ভোগান্তি চলতেই থাকবে।