সত্যজিৎ দাস, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক গরিব গৃহকর্মীর শেষ সম্বল ৭ শতক জমি দখলমুক্ত করে তাকে ফেরত দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন।
সোমবার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ঘড়গাঁও গ্রামে সরেজমিনে অভিযান চালিয়ে ভূমি উদ্ধারের এ ঘটনাটি ঘটে।
কারাদণ্ড দুই দখলদারকে
অভিযানে হেনা বেগম নামে ওই নারীর জমি জবরদখলের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই ভাই ছালেক মিয়া ও জায়েদ মিয়াকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন। পরে তাদেরকে কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগীর আবেদনেই নড়ে চড়ে প্রশাসন
আদালত সূত্র জানায়, পেশায় গৃহকর্মী হেনা বেগমের একমাত্র সম্বল ছিল এই ৭ শতক জমি। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী ছালেক ও জায়েদ মিয়া জমিটি জবরদখল করে ভোগ করছিলেন। বিষয়টি সহকারী কমিশনারকে লিখিতভাবে জানালে তিনি তৎপর হন।
সরকারি সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমির সীমানা নির্ধারণ করে জবরদখলের সত্যতা নিশ্চিত হন এসিল্যান্ড। এরপরই তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে জমি হেনা বেগমকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
“কেউ ছাড় পাবে না”—এসিল্যান্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শেষে এসিল্যান্ড শাহ জহুরুল হোসেন বলেন,
“ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এ ধরনের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছি। ন্যায়ের পক্ষে প্রশাসনের অবস্থান অব্যাহত থাকবে।”
“এটাই আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি”—হেনা বেগম
জমি ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হেনা বেগম বলেন,
“এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমি প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
প্রশংসায় ভাসছে প্রশাসন
এই অভিযান কুলাউড়ায় প্রশাসনের মানবিক, সাহসী ও ভূমি সুরক্ষায় কঠোর অবস্থানের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।