Satyajit Das (Moulvibazar Correspondent):
মৌলভীবাজার শহরের কেন্দ্রস্থল পৌরসভা ভবনের সামনের ফুচকার দোকানগুলো অবশেষে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং কড়া হুশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সোমবার (৬ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ওই এলাকাটি এখন দোকানমুক্ত এবং পূর্বের পরিচ্ছন্ন চেহারায় ফিরেছে। স্থানীয়দের অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
সূত্র জানায়,আইনজীবী সুজন মিয়া হত্যাকাণ্ডের পর বেশ কিছুদিন ফুচকার দোকানগুলো বন্ধ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ফের দোকান বসাতে শুরু করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এতে অনেকেই অভিযোগ করেন,দোকান বসার পেছনে নাকি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রিপনের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আব্দুর রহিম রিপন স্পষ্ট করে বলেন, “আমার নাম ব্যবহার করে কেউ যদি অবৈধভাবে দোকান বসানোর সুযোগ নেয়, তা মেনে নেওয়া হবে না। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।”
রোববার (৫ মে) বিকেলে রিপন নিজে ঘটনাস্থলে যান পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট নিয়ামুল হককে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে উপস্থিত ফুচকা বিক্রেতাদের উদ্দেশে তিনি কঠোর ভাষায় জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্রটি একটি “আইকনিক ও পরিচ্ছন্ন এলাকা” হিসেবে পরিচিত। এর পাশে স্কুল-কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকায় এখানে এ ধরনের হাট বসানো অযৌক্তিক ও অনুচিত।
তিনি বলেন,”পৌর নাগরিকরাও চান না এই জায়গায় অনিয়ন্ত্রিত দোকান বসুক। শহরের সৌন্দর্য ও সুশৃঙ্খলতা বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।”
প্রসঙ্গত,গত ৬ এপ্রিল কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত হন মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া। তার মৃত্যুর পর শহরের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে,পৌরসভা সম্মুখে দোকান বসানো নিয়ে সম্প্রতি জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।