মো. ইলিয়াস সানি, তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এস-এর প্রতিনিধি ও তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের সদস্য ফারহান-উর-রহমান সময়ের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে তারা গাজী হাওলাদারের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক ফারহান-উর-রহমান সময় তজুমদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সকালে ফারহান নির্ধারিত কাজে চাঁচড়া বাজারে গেলে একই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে গিয়াসউদ্দিন দলবল নিয়ে তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
সাংবাদিক সময় জানান, “গিয়াসউদ্দিন এক সময় আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আমার কাছে তার অনেক ছবি ও ভিডিও রয়েছে। এখন সে নিজেকে বিএনপির যুবদল কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে হামলা চালিয়েছে।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সাংবাদিক সময়ের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সেই বিষয়ে আলোচনার সময় তর্কবিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ইব্রাহিমের নির্দেশে মিমাংসার চেষ্টা চলছিল।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, গিয়াসউদ্দিন আগে চাঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নানের অনুসারী ছিলেন। ৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত তাকে আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মী হিসেবে দেখা যেত। এমনকি এক ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে আহত হয়ে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি নিজেকে বিএনপি ও যুবদলের কর্মী পরিচয়ে উপস্থাপন করছেন।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাব্বত আলী বলেন, “সাংবাদিক ফারহান-উর-রহমান সময় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় তজুমদ্দিন প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।